যুগবার্তা ডেস্কঃ মঙ্গলবার সকালে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় গৃহীত প্রস্তাবে দমন-নিপীড়ন, হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা ও গণগ্রেফতার বন্ধ করে নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়। প্রস্তাবে বলা হয় বিরোধীদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন অব্যাহত রেখে সরকার আরেকটি একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। প্রস্তাবে আরো বলা হয় প্রধানমন্ত্রী বিদেশে বলে এসেছেন, দেশে নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশ রয়েছে। অথচ তাঁর সরকার দেশে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গ্রেফতারসহ নানাভাবে দমন-নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। সাতক্ষীরায় বাম জোট নেতা অ্যাড. খগেন্দ্র নাথ ঘোষ, অধ্যাপক প্রশান্ত রায় ও নিত্যানন্দ সরকারকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মিথ্যা মামলায় এখনও আটক রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আটক রয়েছে চট্টগ্রামের ছাত্র ফেডারেশনের নেতা মারুফ হোসেন। ৫৭ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মাইদুল ইসলামকে। আলোকচিত্রি শহীদুল আলমকে এখনও মুক্তি দেয়া হয়নি। প্রস্তাবে বলা হয় জুলুম, সন্ত্রাস ও নিপীড়নকে মহাজোট সরকার তাদের শাসনের বশিষ্ট্যে পরিণত করেছে। সভার প্রস্তাবে মহাজোট সরকারের জেল-জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ জোরদার করার আহবান জানানো হয়।
সিপিবি কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাসদ এর কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরাজ, বাসদ (মার্কসবাদী) এর কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহবায়ক হামিদুল হক, সাľাদ জহির চন্দন, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, রুহিন হোসেন প্রিন্স, আকবর খান, আলমগীর হোসেন দুলাল, ফখরুদ্দিন কবির আতিক, ফিরোজ আহমেদ, মমিনুর রহমান বিশাল প্রমুখ।