যুগবার্তা ডেস্কঃ সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিন আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ কথা জানান। নীতিগত তিনটি আইনে প্রথমটি ‘হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট ২০১৬’ , দ্বিতীয় ‘চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন’ এবং তৃতীয়টি ‘ বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন।
তিনি বলেন, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ আইনটি মূলত ১৯৭৭ সালের যে অডিনেন্স তা পরিবর্তন করা। মন্ত্রিসভা ও সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত হল যে পাকিস্তান আমলে যেসব আইন হয়েছে তা পরিবর্তন করতে হবে। সেই বাধ্যবাধকতায় এ আইনটি আনা হয়েছে। তেমন কোনো বড় পরিবর্তন করা হয়নি। যেটা ইংরেজিতে আইন ছিল তা মোটামুটি বাংলা করা হয়েছে।তবে একটা পরিবর্তন প্রস্তাব করা হয়েছে যেমন- এখানে প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদবী পরিচালক ছিল তা পরির্বতন করে মহাপরিচালক নাম দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
শফিউল আলম বলেন, কমিটির গঠন আগের চেয়েএকটু বাড়িয়ে কমিয়ে সুবিন্যস্ত করা হয়েছে। ৫,৬ নাম্বারে বলা আছে-পরিচালনা পরিষদের গঠনে যে মন্ত্রীবা প্রতিমন্ত্রী দায়িত্বে থাকবেন তিনিই এই কমিটির চেয়ারম্যান হবেন। গণপূর্ত ও গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের সচিব এটার ভাইস-চেয়ারম্যান হবেন। পরিকল্পনা কমিশন, অর্থমন্ত্রণালয়ে সচিবের নিম্ন নহে,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী, জাতীয় গৃহায়নের চেয়ারম্যান, চিফ আরর্কিটেক, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক, হাউজিং এবং বিল্ডিং রিসার্চের মহাপরিচালকসহ মোট ২০ জন সদস্য নিয়ে এ কমিটি গঠিত হবে। এখানে মনোনীত সদস্যরা দুই বছরের জন্য কাজ করার সুযোগ পাবেন।
তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ রিসার্চ করা। এরপরেও ছোট বড় মোট ১৭টি কাজের সুযোগ পাবে এ প্রতিষ্ঠানটি। বছরে কমপক্ষে দুইবার সভা করার কথা বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইনটি মূলত আগের অধ্যাদেশ থেকে বাংলায় করা হচ্ছে। মূল অধ্যাদেশটি পাকিস্তান সরকারের সময় করা। মোটামুটি সবকিছু আগের মতোই থাকছে, মূলত ইংরেজি থেকে বাংলায় হচ্ছে।