কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটাকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে নতুন সাজে। সৈকতে বসার বেঞ্চ ও ছাতায় এখন নতুনত্বের ছোঁয়া। বিভিন্ন পয়েন্টে শোভা পাচ্ছে লাল, নীল বেগুনীসহ রং বে-রংঙের পতাকা। ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার টোয়াক’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এমন রপে সাজিয়ে তুলেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের সেবার মান উন্নয়নে বুধবার সকাল দশটায় সকতেই উদযাপন করা হয় “স্পেশাল ডে”। বের হয়েছে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা। এতে পর্যটন ব্যবসায়ি, স্থানীয়, ট্যুর অপারেটরস সংগঠনে নেতৃবৃন্দ ও আগত পর্যটকরা অংশগ্রহন করেন।
পরে কুয়াকাটার অভিজাত একটি আবাসিক হোটেলের হলরুমে টোয়াকের প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক অতিরিক্ত সচিব আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের, টোয়াবের প্রেসিডেন্ট রাফিউজ্জামান, স্থানীয় আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কুয়াকাটা পৌর সভার সাবেক মেয়র বারেক মোল্লা, কুয়কাটা প্রেসক্লব সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব, ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক এম মিজানুর রহমান, হোটেল মেটেল মালিক সমিতির সভাপতি শহআলম হাওলাদার, প্রমুখ।
বক্তারা এই উৎসবের প্রশংসা করে পর্যটকদের আরো সেবার মান বাড়াতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দিনব্যাপী সকতে হাডুডু খেলা, হাস ধরা ও নানা ক্রীড়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করবে ব্যবসায়ীরা। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ উৎসব। তবে শোভাযাত্রায় স্থানীয় আধিবাসি রাখাইনদের কৃষ্টি কালচার, জেলেদের জীবনচিত্র নৌকা ও জাল, কৃষি সরঞ্জামদিসহ বেশকিছু পেশার চিত্র পর্যটকদের আকৃষ্ট করেছে।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার টোয়াক’র সাধারন সম্পাদক মো.আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, টোয়াকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কুয়াকাটা সকতকে রঙিন সাজে সাজানো হয়েছে। এছাড়া এই দিনে আগত সকল পর্যটকদের প্রকারভেদে ২০ থেকে ৬০ পাসেন্ট ছাড় পাবে।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার টোয়াক’র সভাপতি রুমান জানান, পর্যটন নগরী কুয়াকাটাকে ব্রান্ডিংসহ টোয়াক স্পেশাল ডে উপলক্ষে পর্যটন নির্ভর ১৬ টি পেশার ব্যবসায়ি সংগঠন পর্যটকদের সবোর্চ্চ ডিসকাউন্ট দিচ্ছে। টোয়াকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এমন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।