যুগবার্তা ডেস্কঃ “জঙ্গীবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যের আওয়াজ দিয়ে বিএনপি যখন প্রশ্ন তুলে জঙ্গীদের কেন পিছন থেকে গুলি করা হলো তাতেই বোঝা যায় বিএনপির মনের মানচিত্র। বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের প্রতিষ্ঠাতা বেগম জিয়া তারেক রহমান ও নিজামী মোজাহিদেরা বাংলা ভাই সৃষ্টির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদী রাজনীতি প্রচলন করেছিলেন সে কথা এদেশের জনগণ ভুলে যান নি। বেগম জিয়ারা এখনও জঙ্গীবাদীর রাজনৈতিক শক্তির উপরই নির্ভর করে তাদের ক্ষমতার স্বপ্নের জাল বুনছেন। আজকে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের আক্রমণের পিছনে যে মাস্টার মাইন্ড কাজ করছে তা সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনা। আর তাদের হাত হিসেবে কাজ করছে জামাত বিএনপির রাজনৈতিক ছাতা। ধরাপড়া জঙ্গীদের পিছনের রাজনৈতিক পরিচয় জামাত শিবির। জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ, হিজবুত তাহরির, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম সকল জঙ্গী সংগঠনের গোড়ায় কাজ করছে জামাত ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। এই শক্তির বিরুদ্ধে ১৪দল সহ যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে তাকে আরও তৃণমূলে নিয়ে যেতে হবে। চিরতরে জঙ্গীবাদকে উৎখাত করতে হবে।”
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে জঙ্গীবাদ ও সাম্রাজ্যবাদী সমাবেশে সভাপতি ও প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন জননেতা রাশেদ খান মেনন এমপি।
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন আমাদের মৌলিক সাহসের ভিত্তি আমাদের ’৭২ এর ৪ মূলনীতির সংবিধান। পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে আমরা বীরের জাতি হয়েছি। আজকে মৌলবাদ সাময়িক বিষফোড়া হিসেবে উপস্থিত হয়েছে। এই বিষফোড়া তৈরী করেছে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধবাজ গোষ্ঠী। আমরা ‘সেক্যুলার রাষ্ট্রের দর্শন নিয়ে যদি দাঁড়াতে পারি অবশ্যই জঙ্গীবাদ পরাস্ত হবে। জনগণের জাতীয় ঐক্যই জঙ্গীবাদকে পরাস্ত করবে।
পলিটব্যুরো সদস্য বিমল বিশ্বাস বলেন, ‘পুজিবাদ ও যুদ্ধবাদী শক্তি পুনরায় বিশ্বকে ভাগ করে নেয়ার খেলায় মেতেছে। তারা এখন তৈরি করেছে জঙ্গীবাদী দানব। জঙ্গীবাদের নামে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে বিরোধ তৈরি করেছে। এ সাম্রাজ্যবাদী খেলা রুখতে হলে শ্রমজীবি মেহনতী মানুষের ঐক্য গড়তে হবে। সভায় ঘোষণা পাঠ করেন পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড নুর আহমদ বকুল। আরো বক্তব্য রাখেন, নগর কমিটির সভাপতি আবুল হোসাইন, সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড দীপঙ্কর সাহা দীপু। পলিটব্যুরো সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমরেড নুরুল হাসান, কমরেড মাহমুদুল হাসান মানিক, কমরেড হাজেরা সুলতানা, কমরেড কামরূল আহসান, কমরেড আমিনুল ইসলাম গোলাপ, কমরেড মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি। সভায় ঘোষণায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষিত হয়।