।। মংলা থেকে মোঃ নূর আলম।।
রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের ১৪ কিলোমিটার দুরে থেকে পরিবেশের ক্ষতি করবে এটা গ্রহণযোগ্য না। সবচেয়ে দক্ষ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসেবে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার হবে। ফলে ধোঁয়াসহ ক্ষতিকর কোন উপাদান বাতাসে আসবে না। ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে রূপকল্প-২০২১ এবং মংলা বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের এক যৌথ সভা শেষে সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে প্রধান মন্ত্রীর কার্য্যালয়ের মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াই টায় অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী কার্য্যালয়ের মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। সভায় বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব শফিক আলম মেহেদী, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সচিব মোঃ নজিবর রহমান, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহি চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ ফিরোজ সালাহউদ্দিন, বেপজা’র নির্বাহি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ হাবিবুর রহমান খান, পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধূরী, প্রধানমন্ত্রীর পিএস ড. নমিতা হালদার, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ। সভায় খুলনায় ফাইভ স্টার এবং মংলায় থ্রি স্টার হোটেল নির্মান, খানজাহান আলী বিমান বন্দর নির্মান, মংলা থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত রাস্তা ৪ লেনে উন্নীতকরন, খুলনা-মংলা রেল লাইন স্থাপন, মংলা বন্দরের সাথে ভারত-নেপাল-ভূটানের কানেক্টিভিটি, মংলা বন্দর দিয়ে গাড়ী আমদানীসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এবং এ সকল উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্র্য্যালয়ের মূখ্য সচিবসহ সরকারি কর্মকর্তাগন রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকা পরিদর্শনে যান।