Home সাহিত্য ও বিনোদন সিনেমার গানে কন্ঠ দিলেন শিল্পী ফেরদৌস পারভীন

সিনেমার গানে কন্ঠ দিলেন শিল্পী ফেরদৌস পারভীন

45

জাকির হোসেন আজাদী: খ‍্যাতিমান শিল্পী ফেরদৌস পারভীন কণ্ঠে রেকডিং হলো ‘গন্তব্য’ চলচ্চিত্রের একটি অসাধারণ গান। কবি, সংগঠক ও নির্মাতা রানা হোসেন শুরু করতে যাচ্ছেন চলচ্চিত্র ‘গন্তব্য’ । গানের কোন শিল্পী নই, তবুও শোনাবো গান’ ফেলে আসা জীবনের যাত্রা শুরু করলেন গুণী এই নির্মাতা।

এ সময়ের অভিনেতা-অভিনেত্রী এই চলচ্চিত্রে অভিনয় অভিনয় করবেন বলে নির্মাতা রানা হোসেন জানান। সুর ও সঙ্গীত পরিচালক হলেন শাহীন মাহমুদ চৌধুরী। ‘গন্তব্য’ চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও গীত রচনা করেছেন নির্মাতা রানা হোসেন।

এছাড়া সুরকার হিসেবে রয়েছেন আবু জাফর মোঃ ছালেহ। চলচ্চিত্রটির আবহসঙ্গীত পরিচালনা করবেন মীর হাসান স্বপন। এই বিসসঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌস পারভীন বলেন, ” আমি দীর্ঘ দিন ধরে দেশ-বিদেশ গান করেছি। এই গান গেয়ে আমার নতুন অভিজ্ঞতা হলো। দোয়া করবেন
আপনাদের আরো ভালো ভালো গান উপহার দিতে পারি।”

চলচ্চিত্র প্রযোজনা করছেন মৃত্তিকা প্রোডাকশন। অন্য শিল্পীদের মধ্যে রয়েছে সাবিনা ইয়াসমীন ও মনির খান ও সহকারী পরিচালক: সাদিকুর রহমান ।

সিনেমার কাহিনী সংক্ষেপ:
গায়ের কাদা মাটি নিয়ে খেলতে খেলতে সময় পার করে হাসু। স্কুলে না যাওয়ার কারণে এক দিন বাবা হালুকে ধরে মারে তখন সে পালিয়ে অচেনা ঢাকার শহরে। ঢাকার এলাকার বিভিন্ন স্থানের কাজ খুঁজে বেড়ায় হালু ক্ষুধার জ্বালায় কাওয়ানবাজার এসে কুলির কাজ করে অন্য কুলি তারিয়ে দেয়। রাতে হাতিঝিল এসে ঘুমিয়ে পড়ে। অন্য দিকে হাসু’র বাবা/মা তারা সারা রাত অপেক্ষা করে কখন হাসু বাড়ি ফিরবে। সকাল মামুনের সাথে দেখা হলে মামুন তার বাড়িতে নিয়ে যায় হাসুকে তার ছেলে বেলা খুঁজে পায় হাসুর মাঝে। মামুনের স্ত্রী নুপুর হাসুর কাপ ভেঙ্গে ফেলছে সে কারণে বাড়ি থেকে তারিয়ে দেয়। রাতে মামুন এসে দেখে পরান দাড়িয়ে তাকে হাসু কোন শব্দ নেই, নুপুরে সাথে জানতে চাইলে বলে সে বলে তারিয়ে দিয়েছে। অচেনা ঢাকার শহরে সে হয়ে যায় তখন কাগজ টোকাই।

শহরের ধূলোয় খুঁজে নেয় নিজের ফেলে আসা মাটির গন্ধ। রেল লাইনের পাশ্বে মেনহলের উপর রাতে ঘুমিয়ে দূরের চাঁদ দেখে। অন্য দিকে বকুল রাত কাটায় চোখের জলে হাসুর জন্য। শহরের আশে ফুটপাতের টোকাই টুটুল হয়ে যায় হাসুর বন্ধু, ডোবায় ইট ছুড়ে আর বলে পরান তাঁর ফেলে আসা কিছু স্মৃতি।

স্কুলের জানালায় ছাত্রী পানির বোতল ছুড়ে মারলে চোখে পড়ে হাসুর কুড়িয়ে আনতে মাষ্টারের পড়া শুনে ফিরে যায় একদিন হাসু ও স্কুলে পড়তো। বেলের শব্দে ভেঙে যায় কল্পনা স্বাদ জাগে
আবার স্কুলে যেতে কাগজ টোকাবে বিক্রি করে বই কিনবে পথের ফুলবিক্রিকারী ছেলে মেয়েরা অবসর সময় হাসুর কাছে পড়বে। হাসুর বাবা বেলাল জানতে পারে হাসু কাওরানবাজার থাকে মা বকুল বলে তারা শহরে এসে হাসুকে নিয়ে যাবে। অন্য দিকে হাসু বই কিনে রোডে গাড়ীর আঘাত পায় হাসপালে পরান ফুল বিক্রি করে। ছেলে মেয়ের মন রাখাপ হাসুর বাবা, মা ছোট বোন তুলি সহ শহরে হাসুর বন্ধু টুটুলের সাথে তাদের দেয়। হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসু কি গায়ে ফিরে যাবে নাকি শহরে থাকবে এখানে শেষ হয় গল্প।