Home সাহিত্য ও বিনোদন সাড়া ফেলেছে গীতিকার মো. হাবিবুল্লাহর পদ্মাসেতুর গান

সাড়া ফেলেছে গীতিকার মো. হাবিবুল্লাহর পদ্মাসেতুর গান

46

জাকির হোসেন আজাদী: বাংলাদেশের গর্বের প্রতীক পদ্মা বহুমুখি সেতু নিয়ে চমৎকার থিম সং লিখেছেন বিশিষ্ট গীতিকার মো. হাবিবুল্লাহ। তাঁর গানের অপূর্ব বাণী, সুর ও গায়কী সংগীত প্রেমীদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। বিটিভি ও সিটিভিতে প্রচারিত পদ্মা সেতুর “অকূল পদ্মারে…তোমার বুকে জেগেছে এবার, স্বপ্নের সেতু চমক জোয়ার… গানটি ইতিমধ্যে ব‍্যাপক সাড়া ফেলেছে।”

গত ২৫ জুন তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির বহুকাঙ্খিত স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধন করে সারা বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন। এ অকল্পনীয় সেতুর সফল বাস্তবায়ন আমাদের দেশের অর্থনীতি উন্নয়ন বহুদুর এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস। দেশের আপামর জনতার পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। পদ্মাসেতু উদ্বোধন ঘিরে ইলেকেট্রোনিক মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়াতে বহু গান পরিবেশনা হয়েছে। ভিন্ন কথায় ভিন্ন সুরে পরিবেশিত গানগুলিতে প্রত্যেকের স্বতস্পুর্ত আনন্দ লক্ষ্য করা গেছে। এত গানের ভীড়ে বিশিষ্ট গীতিকার মো. হাবিবুল্লাহ’র লেখা ফরিদ বঙ্গবাসীর সুরারোপের গানটি শ্রোতাদের সবচেয়ে বেশী আকৃষ্ট করেছে। অসাধারণ লেখা এ মৌলিক গানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র ভিন্নভাবে শিল্পীদের অংশগ্রহণে ধারণ করে প্রচার করেছে। এ প্রজন্মের সেরা দু’জন শিল্পী শাহীন খান ও নীপা আকতার মীম এর কণ্ঠে পরিবেশিত এ গানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভিওয়ার্ল্ড-এ কয়েকবার প্রচার হয়েছে। গানটি একবার শুনেই তার মোহনীয় সুর সংগীত প্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে।

গান:-
অকূল পদ্মারে…
তোমার বুকে জেগেছে এবার
স্বপ্নের সেতু চমক জোয়ার
সকল বাঁধাবিঘ্ন পেরিয়ে
ঘন কুয়াশার আঁধার কাটিয়ে
উন্মোচিত আজ আলোর দুয়ার
জয়তু শেখ হাসিনা’র সরকার ।।

তোমার ভয়াল স্রোতের টানে
ঝরে যেতো কত অকাল প্রাণ
ওপাড়ের মানুষের জনদাবীতে
জননেত্রীর সেরা অবদান
বিশ্বজানে তাঁর মানবপ্রীতি
অজর কর্মে তার জয়জয়কার
সফল হলো দৃঢ় অঙ্গীকার ।।

দুই তীরে হবে আনাগোনা
উন্নয়ন হবে গতিশীল
কোটি মানুষের খুলবে ভাগ্য
হবোনা আর পরনির্ভরশীল
নিজের ভাগ্য নিজেরাই গড়বো
নিপাত হবে অপহুংকার
চলেছে দেশ গতি দুর্বার ।।

শিল্পী: শাহীন খান ও নীপা আকতার মীম
গীতিকার: মো. হাবিবুল্লাহ
সুর ও সঙ্গীত: ফরিদ বঙ্গবাসী