Home কৃষি সারা দেশে ৯২ লাখ ৬৫ হাজার হেক্টরে বোরোসহ শীতকালীন ফসল আবাদের লক্ষ্য

সারা দেশে ৯২ লাখ ৬৫ হাজার হেক্টরে বোরোসহ শীতকালীন ফসল আবাদের লক্ষ্য

35

ডেস্ক রিপোর্ট: চলতি মৌসুমে (২০২২-২০২৩) সারা দেশে ৯২ লাখ ৬৫ হাজার ৪৮০ হেক্টরে বোরোসহ বিভিন্ন শীতকালীন ফসল চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ফসলের চাষ শুরু হয়ে গেছে। খাদ্যশস্য ও সর্ষে চাষে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ঢাকা খামারবাড়ির এক তথ্যে জানা যায়, এবার বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ৪৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ হেক্টরে। বোরোর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ কোটি ৫৩ লাখ ৩৩ হাজার ৭০০ টন (চাল)। এরমধ্যে ১৩ লাখ ৩৩ হাজারে হেক্টরে হাইব্রিড, ৩৬ লাভ ৩০ হাজার হেক্টরে উচ্চফলনশীন ও ১৭ হাজার ৬০০ হেক্টরে স্থানীয় জাতের বোরো চাষ করা হবে। গত বছর (২০২১-২০২২) দেশে বোরো চাষ হয়েছিল ৪৯ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ হেক্টরে। আর বোরো উৎপাদন হয়েছিল ২ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার টন। এবার গম চাষ করা হবে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭০০ হেক্টরে। গমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১১ পাথ ৬০ হাজার ৩৩৮ টন। গত বছর গম উৎপাদন হয়েছিল ১১ লাখ ৬৮ হাজার ১১৪ টন । ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ হেক্টরে। ভুট্টার উৎপাদান লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৯ লাখ ৮২ হাজার ৮০০ টন। দেশে পোলট্রি শিল্পের বিকাশের কারনে ভুট্টার চাহিদা বেড়েছে। এবার আলু চাষ করা হবে ৪ লাখ ৬৪ হাজার হেক্টরে। আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ ৫৬ হাজার টন। মিষ্টি আলু চাষ করা হবে ৩৪ হাজার হেক্টরে । উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৪০০ টন।
শীতকালীন শাকসবজি চাষ করা হবে ৬ লাখ ১৩ হাজার হেক্টরে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে এক কোটি ৪০ লাখ ৯৯ হাজার ৬০ টন। ইতোমধ্যে শীতকালীন সবজির চাষ শুরু হয়ে গেছে। বাজারে শীতকালীন সবজিতে ভরে উঠছে। সর্ষে চাষ করা হবে ৬ লাখ ৭০ হাজার হেক্টরে। সর্ষের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ৯ লাখ ৩৮ হাজার টন। চিনাবাদাম চাষ করা হবে ৯২ হাজার হেক্টরে। চিনাবাদামের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৬৬ হাজার ৭০০ টন। তিসি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১৪ হাজার হেক্টরে । তিসির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাধার্য করা হয়েছে ১৫ হাজার টন। এবার ৮১ হাজার ৩৫০ হেক্টরে সয়াবিন চাষ করে এক লাখ ৪৮ হাজার টন সয়াবিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। সূর্যমুখী চাষ করা হবে ১১ হাজার ৪০০ হেক্টরে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ১০০ টন।
এবার মসুর চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার হেক্টরে। উৎপাদন ধরা হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ৪০০ টন। ২ লাখ ১৫ হাজার ৫০০ হেক্টরে খেশারি চাষ করে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৬০০ টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে । ছোলা চাষ করা হবে ৩ হাজার ১০০ হেক্টরে। ছোলা উৎপাদন হবে ৪ হাজার ৬০০ টন। মটর ডাল চাষ করা হবে ১০ হাজার হেক্টরে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭০০ টন। ৩৮০ হেক্টরে অড়হর চাষ করে ৪ হাজার ৪০০ টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।
চলতি মৌসুমে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩ হেক্টরে পেঁয়াজ চাষ করে ৩৬ লাখ ৩০ হাজার ২০ টন পেঁয়াজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। গত বছর ৩৬ লাখ ৪ হাজার ১১৪ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল। এবার ১ লাখ ৫ হাজার ৪৮০ হেক্টরে রসুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। রসুন উৎপাদন হবে ৭ লাখ ৮৩ হাজার ২৩৮ টন। ধনিয়া চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৫১ হাজার হেক্টরে। উৎপাদন ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টন। ২ লাখ ২০ হাজার হেক্টরে মরিচ চাষ করে ২ লাখ ২৬ হাজার টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। কালোজিরা চাষ করা হবে ১ লাখ ১৯ হাজার হেক্টরে । উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার টন। মাঠপর্যায়ের কয়েক জন কৃষি কর্মকর্তা জানান, চাষিরা শীতকালীন ফসল চাষ শুরু করে দিয়েছে।
ইত্তেফাক