Home মতামত শহীদ চয়েন মুক্তিযুদ্ধে সিংড়ার প্রথম শহীদ

শহীদ চয়েন মুক্তিযুদ্ধে সিংড়ার প্রথম শহীদ

61

।।এনামূল হক বাদশা।।

চয়েন উদ্দিন মোল্লা। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক সাহসী যোদ্ধার নাম। ৭১- চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়ার প্রথম শহীদ। আপসোস জাতির এই সূর্য সন্তানের মৃত্যুবার্ষিকী আজো পালিত হয় একেবারেই নীরবে। এবছর তার ৫১ তম মৃত্যুবার্ষিকীতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
শহীদ চয়েন সিংড়ার বালুয়া-বাসুয়ার মোল্লা পাড়ার মোল্লা পরিবারে সন্তান। এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার জন্য মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন এই শহীদ চয়েন।

একাত্তরের সেই ভয়াবহ ও নৃশংসতা দেখেও শহীদ চয়েন লড়াই করেছেন জম্মভূমির টানে। জীবন দিয়েছেন তবু পিছু হটেন নি।
দিনটা ছিল ১৯ এপ্রিল ১৯৭১। ইতিহাসের এ দিনেই তাকে হত্যা করা হয়। সে ইতিহাস কারো অজানা নয়।

যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি তারা আজ অবহেলিত। আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমরা যারা স্বাধীনতাকামী মানুষ, তাদের কি কোনো দায়বোধ নেই! কেন সিংড়ার প্রথম শহীদের শাহাদতবার্ষিকী নিরবে চলে যাবে। এ দায় কি কেবলই তার পরিবারের! না এ দায় আমাদের, রাজনৈতিক নেতা ও সমাজের, আমাদের সকলের। কার আমি মনে করি

অন্যদিকে আজকে মুক্তিযুদ্ধের জয়গান গেয়ে, গলা ফাটিয়ে অনেকে যারা সুবিধা নিচ্ছেন, তারাও কি এ দায় এড়াতে পারবেন! সিংড়ায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স আছে, আছে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল। কিন্তু আমার জানামতে শহীদ চয়েনকে নিয়ে কোনো শোক শোভা তো দুরে থাক, তার কথাও মনে হয় স্মরণ করা হয় না। সর্বত্র কেবল রাজনীতির ভিতরে রাজনীতি।
আজ শহীদ চয়েনের অবর্তমানে তিনি যে অবমূল্যায়ন হচ্ছে। একবার চিন্তা করে দেখবেন আপনার অবর্তমানে কি মুল্যায়িত হবেন!

আপনারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আপনাদের সম্মান করি। কিন্তু সিংড়ার বীর শহীদরা এভাবে অবমূল্যায়িত হোক তা আমরা চাই নাই না।

৫১ বছরে মোড়টির নাম শহীদ চয়েন নামকরণ হলেও শহীদ চয়েন নামক কোন স্মৃতির ফলক আজও হয়নি। তাহলে কি মুক্তিকামী মানুষ শুধু সরকারি সুযোগ সুবিধাই ভোগ করবে! বীর যোদ্ধারা অবহেলিতই থাকবে! প্রশ্ন আপনাদের বিবেকের কাছে।