Home স্বাস্থ্য রক্তের চাহিদা মেটাতে স্বেচ্ছা রক্তদানের চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে: মোস্তাফা জব্বার

রক্তের চাহিদা মেটাতে স্বেচ্ছা রক্তদানের চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে: মোস্তাফা জব্বার

32

স্টাফ রিপোটার: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, জীবন রক্ষায় স্বেচ্ছায় রক্তদানের চেয়ে মহৎ কিছু হতে পারে না। রক্ত দাতারা জাতির আলোকিত মানুষ। তিনি রক্তের চাহিদা মেটাতে স্বেচ্ছা রক্তদানের চর্চা পারিবারিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এমন কিছু রোগ আছে বিশেষ করে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের অনেককেই মাসে দু‘তিন বার রক্ত দিতে হয়। এক সময় পেশাদার রক্তদাতাদের কাছ থেকে রক্ত কিনতে হতো কিন্তু সে দৃশ্য এখন অনেকটাই পাল্টে গেছে। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের মাধ্যমে রক্তের এই চাহিদা এখন অনেকটাই মিটানো সম্ভব হচ্ছে। তিনি বলেন থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয় করা আবশ্যক। দুই জন থ্যালাসিমিয়ার বাহক যাতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হয় সে বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

মন্ত্রী মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর কাকরাইলস্থ আইডিইবি মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, রক্তের সাথে জীবন জড়িত। আর সেই জীবন হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের জীবন। তিনি বলেন, মানুষ তার নিজের কর্মের জন্যই সম্মানিত হয়। স্বেচ্ছা রক্তদাতারাও তাদের কর্মের জন্যে সম্মানিত। তারা শুধু নিজের কাছে নয়, সমগ্র জাতির কাছে সম্মানিত। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে তলাবিহীন ঝুড়ির অবজ্ঞাখ্যাত বাংলাদেশ আজ সুদৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সৃদৃঢ় এই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েই বৈশ্বিক মন্দার বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে অগ্রগতির সোপানে। ‍তিনি বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতির বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় আমদানি নির্ভর বিলাসি পণ্য ব্যবহারে সতর্কতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় আমরা মোবাইলের মোট চাহিদার শতকরা ৯৬ ভাগ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছি অথচ এক সময় এ দেশে কাপড় কাঁচার সাবানও আমদানি করতে হতো বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ৩ বার, ১০ বার, ২৫ বার এবং ৫০ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন- এমন প্রায় তিনশ’ স্বেচ্ছায় রক্তদাতাকে সনদপত্র, আইডি কার্ড ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এসময় স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষে অনুভূতি বর্ণনা করেন ৫০ বার রক্তদাতা ছালেহ আহমেদ এবং নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের মধ্য থেকে অনুভূতির কথা জানান থ্যালাসেমিয়া রোগী সাবেকা রহমান আশপিয়া।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান। সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী। নিয়মিত রক্তদাতাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে দেশের রক্তের চাহিদার ঘাটতি মেটানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, আমাদের দেশে প্রতিবছর প্রায় ৮ লক্ষ ব্যাগ নিরাপদ ও সুস্থ রক্তের চাহিদা রয়েছে।