Home জাতীয় যে কোনো নাগরিককের উপর বৈষম্য করা সংবিধান ও মানবাধিকারের লঙ্ঘণ

যে কোনো নাগরিককের উপর বৈষম্য করা সংবিধান ও মানবাধিকারের লঙ্ঘণ

42

আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনরা

স্টাফ রিপোটার: আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনরা বলেছেন, যে কোনো নাগরিককের উপর বৈষম্য করা সংবিধান ও মানবাধিকারের লঙ্ঘণ। অথচ দেশের জনগণের মধ্যে বৈষম্য বাড়ছে। সকল প্রকার বৈষম্য অবসানে কার্যকর সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওয়াইডব্লিউসিএ মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস), বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক এবং জনউদ্যোগ আয়োজিত ‘নিজ এলাকায় কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে আদিবাসী নারী ও মেয়েদের ভূমিকা’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপিএস’র নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর। সভায় বক্তৃতা করেন আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক ফজলে হাসান বাদশা এমপি, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, জনউদ্যোগ জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ডা. মোশতাক হোসেন, আইইডি’র নির্বাহী পরিচালক নুমান আহমেদ খান, খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক শেফালিকা ত্রিপুরা, জনউদ্যোগের সমন্বয়কারী তারিক মিঠুল, সিমাভির লবি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি অফিসার ওমর ফারুক আকন্দ, বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সদস্য সচিব চঞ্চনা চাকমা প্রমুখ।
বিএনপিএস’র উপ-পরিচালক শাহনাজ সুমি ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক সঞ্জয় মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক-এর কর্মকর্তা ফাল্গুনী ত্রিপুরা।
সভায় সংসদ সদস্য ফজলে হাসান বাদশা বলেন, আদিবাসীরা উপেক্ষিত। সমতলের আদিবাসীদের দুরাবস্থা চরমে পৌঁছেছে। সংবিধানে বলা হয়েছে, ধর্ম-বর্ণ-নারী-পুরুষসহ কোনো বিষয়ে বৈষম্য করা যাবে না অথচ আজকে শব্দ নিয়ে বৈষম্য তৈরী করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত কৈশোরবান্ধব আদিবাসী নারী ও মেয়েদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব কিন্তু রাষ্ট্র তা করে না। বৈষম্য নিরসনে সভায় উত্থাপিত সুপারিশ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার আশ্বাস দেন তিনি।
সভায় রোকেয়া কবীর বলেন, এই দেশে নারীদের নামাজের স্থানের জন্য আন্দোলন হয়। বাস ও রেল স্টেশন, মার্কেটে নারীদের জন্য টয়লেট ব্যবস্থার জন্য আন্দোলন হয় না। নারী নিপীড়ন মুক্ত পরিবেশের জন্য আন্দোলন হয় না। তিনি বলেন, শুধু নির্বাচনের সময় গণতান্ত্রিকতার বিষয়টি সামনে আসে। নির্বাচন ও গণতন্ত্র দুইটিকেই মিলিয়ে ফেলেছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও আদিবাসী বিতর্ক তৈরি করেছে। এই দেশের একটি স্বার্থান্বেষী মহল এবং তারাই রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবিত করেছে ।
আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, আদিবাসী নারীরা অনেক বৈষম্যের শিকার। শাসক শ্রেণী চায় না, আমরা ‘আদিবাসী’ শব্দটা বলি। সরকার তথ্য দিয়েছে, মাতৃমৃত্যৃ হার কমেছে, শিশু মৃত্যুহার কমেছে। কিন্তু আদিবাসীদের মধ্যে কত শতাংশ নারী মৃত্যুহার কমেছে, শিশু মৃত্যুহার কমেছে-সেই তথ্য কি আছে? বলতে পারবে না। কারণ তাদেরকে গণনার মধ্যে ধরা হয়নি। উন্নয়নের মধ্যে ধরা হয়নি। শাসকরা আদিবাসীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।