সৈয়দ আমিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি : “মৌলবাদ ও সামরিক শাসন একে অন্যের হাত ধরে পথ চলে। সামরিক শাসনের মধ্যেই মৌলবাদ বিকশিত হয়। সামরিক শাসন ও মৌলবাদকে নির্মূল করতে হলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নাই। বর্তমানে বাংলাদেশে সামরিক শাসন না থাকলেও তাদের দোসর মৌলবাদ বহাল তবিয়তে বিরাজ করছে। মৌলবাদকে রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে নির্মূল করতে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে। এ লক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আগামী নির্বাচনে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। এ লক্ষ্যে ১৪ দলকে আরো সংহত করতে প্রগতিশীল শক্তিকে সুদৃঢ় করতে হবে।”
আজ শুক্রবার (১ জুলাই) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মৌলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে “৮০ দশকে ছাত্র আন্দোলন, বিধান চন্দ্র রায় ও বর্তমান প্রেক্ষিত” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতাকালীন সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড আবুল হোসাইন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমরেড রাশেদ খান মেনন ’৬০ ও ’৮০’র দশকের ছাত্র আন্দোলনকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের রেনেসাঁ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন এই দুই দশকের ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সংগঠিত হয়েছে। বর্তমান ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কে হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এখন ছাত্র আন্দোলন সুবিধাবাদীর চক্রের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। এখান থেকে ছাত্র আন্দোলনকে বের করতে হলে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনকে সুসংগঠিত করতে হবে।