স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৩ নং পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর দারুসুন্নাত দাখিল মাদ্রাসায় কোন শিক্ষার্থী না থাকার পরেও শিক্ষকরা সরকারী সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে।
অথচ ওই মাদ্রাসার কাগজে-কলমে ২৭০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১৪ শিক্ষক কর্মরত আছেন বলা হয়েছে। শিক্ষার্থী না থাকায় অলস সময় কাটিয়ে শুধু বেতন ভাতা উত্তোলন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসাটির সুপারিনটেন্ডেন্টসহ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।
মাদ্রাসাটির সুপার আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধেও নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর দারুসুন্নাত দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষার্থী শূন্য চৌদ্দজন শিক্ষককে উপস্থিত পাওয়া গেছে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মাদ্রাসায় সময় নির্ধারিত থাকলেও এই মাদ্রাসায় ছাত্র-শিক্ষক কেউই সময়মতো মাদ্রাসায় আসেন না। ছুটিও হয় ৩টায়। এভাবেই চলছে সদ্য সরকারি হওয়া ভবানীপুর এবতেদায়ী ও দাখিল মাদ্রাসা ।
নিয়ম মোতাবেক মাদ্রাসা না চলা ও শিক্ষার মান ভালো না থাকায় অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের অন্য মাদ্রাসায় ভর্তি করেন বলে অভিযোগ করেছে। দিন দিন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে।
সরকারি ছুটি ছাড়াও মাদ্রাসা বন্ধ রাখার অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন শিক্ষার মান নিম্ন ও শিক্ষকদের অসদাচরণের কারণে ছেলেমেয়েদের এই মাদ্রাসায় না দিয়ে কয়েক কি: মিঃ দূরের মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হয়েছে। এলাকার একাধিক অভিভাবক জানান, শিক্ষকরা নিয়মনীতি না মেনে খেয়াল খুশিমতো মাদ্রাসা চালান। যার ফলে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
ভবানীপুর দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট আজিজুর রহমান এর সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, আমার অবসরে যাওয়ার সময় হয়েছে এই মুহূর্তে যদি আমার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তাহলে আমার সমস্যা হবে, টাকা দিয়ে তিনি প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার প্রস্তাব দেন।
এ বিষয়ে কথা হলে ১৩ নং পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবু বলেন মাদ্রাসাটির ব্যাপারে আমি তেমন কিছু জানি না ওরা আমাকে কাগজে-কলমে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বানিয়েছে।
বাকেরগঞ্জের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকমল হোসেন জানান, মাদ্রাসাটির দুরবস্থার বিষয়ে আমি অবগত আছি, ওদেরকে বারবার চাপ দেওয়া হচ্ছে কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী আনতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে না শুধুমাত্র বেতন ভাতা তুলছে।