ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের সুপ্রিম কোর্টে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ‘ইডি’র দায়ের করা প্রতিবেদনে ৫১ জন এমপি এবং ৭১ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা নথিভুক্ত করার কথা জানা গেছে।

অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে কতজন বর্তমান এমপি বা বিধায়ক এবং কতজন সাবেক তা রিপোর্টে স্পষ্ট করা হয়নি। আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা ও দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এবং ব্যবসায়ী বিজয় নায়ারও ওই মামলায় অভিযুক্ত। অন্যদিকে, দিল্লি হাইকোর্ট সোমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ‘সিবিআই’ এবং ‘ইডি’কে দিল্লিতে আবগারি দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের বিষয়ে গণমাধ্যমে জারি করা বিবৃতি এবং বিজ্ঞপ্তিগুলো উপস্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছে।

‘সিবিআই’আদালতে উপস্থাপিত অনুরূপ একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান এবং সাবেক এমপি ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে মোট ১২১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে ৫১ জন সংসদ সদস্য। যার মধ্যে ১৪ জন বর্তমান এবং ৩৭ জন সাবেক সংসদ সদস্য। ৫ জন মারা গেছেন। এর পাশাপাশি ‘সিবিআই’য়ের কাছে ১১২ জন বিধানসভা সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩৪ জন বর্তমান এবং ৭৮ জন সাবেক বিধায়ক। মারা গেছেন ৯ জন।

সুপ্রিম কোর্টে উভয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টের মতো তথ্য আদালতে সিনিয়র আইনজীবী বিজয় হানসারিয়ার দায়ের করা প্রতিবেদনেও রয়েছে। হানসারিয়াকে সুপ্রিম কোর্ট ওই বিষয়ে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিযুক্ত করেছে। আসলে, বিজেপি নেতা ও আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় আদালতে আবেদন করেছেন। এতে এমপি ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে মামলার দ্রুত শুনানির দাবি জানানো হয়েছে। সিনিয়র আইনজীবী হানসারিয়া তার রিপোর্টে এমপিদের বিরুদ্ধে মামলার বিচারে অত্যধিক বিলম্বের কথা উল্লেখ করেছেন। কিছু মামলা ৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিচারাধীন। পরবর্তী শুনানি হবে ২১ নভেম্বর। ইতোমধ্যে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ‘আপ’-এর মিডিয়া বিভাগের প্রধান বিজয় নায়ার এবং ব্যবসায়ী অভিষেক বোইনপল্লীকে মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার করেছে।
আমাদের সময়.কম