Home রাজনীতি বিএনপির মুখে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা শোভা পায় না: কাদের

বিএনপির মুখে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা শোভা পায় না: কাদের

29

ডেস্ক রিপোর্টঃ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করে যাদের রাজনীতির যাত্রা শুরু হয়েছে, তাদের মুখে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা শোভা পায় না। দেশবাসী ভালো করেই জানে, বিএনপি এদেশের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ভরকেন্দ্র। যতবারই ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে।’
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা আলমগীরসহ তাদের নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পিছনের দিকে নিয়ে যায়। ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমান সংবিধান সংশোধন করে রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহারের বৈধতা দেন। সেই দলের নেতা হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা কুমিরের মায়াকান্না মাত্র।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অসাম্প্রদায়িকতা ও গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি মহাসচিবের ছদ্মবেশ ধারণ দেশের জনগণের সঙ্গে এক ধরনের পরিহাস। এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে। তাই গণতন্ত্র বিকাশ ও তা সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছে। বিপরীতে বিএনপি কখনোই জনগণের শক্তিকে পরোয়া করে না; সর্বদা অগণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা দখল করে রাখার বা করার অপতৎপরতা চালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়। তারা ক্ষমতাসীন হয়ে সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। বিরোধী মতকে দমন করতে ২১ আগস্টের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি সকল ধরনের অপচেষ্টা চালিয়েছিল। গণতান্ত্রিক সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে জবাবদিহি ও দায়বদ্ধতার টুঁটি চেপে ধরে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। আর আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে গভীর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।