Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস “বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ”

“বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ”

137

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর সাথে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এইচএম আনিসুজ্জামান। বর্তমানে তিনি কৃষি বিভাগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০১৯ সাল থেকে ঐ বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে। এদিকে ছাত্রীর সাথে তার আপত্তিকর ফোনালাপকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে উঠে আসে একের পর এক অভিযোগ । ভাইরাল হওয়া এক ফোনালাপে তিনি একাধিকবার সেই ছাত্রীর সাথে একাকী সময় কাটানোর জন্য জোর করতে থাকেন । তবে সেই ছাত্রী বারবার অসম্মতি জানালে তিনি নানা রকমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন। এছাড়াও ছাত্রীকে পরীক্ষার আগে প্রশ্ন দেওয়াসহ নাম্বার বাড়িয়ে দেওয়ার কথা উঠে এসেছে।

ইতিমধ্যে ঐ বিভাগীয় সভাপতির নানা অনৈতিক ও অসঙ্গতিপূর্ণ কাজে শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের জন্ম নিয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগই পরীক্ষার ফলাফল ও সার্টিফিকেটের জন্য বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। তার ভয়ে জিম্মি থাকা শিক্ষার্থীদের মুখ খুলতে চান না অনেকেই। অভিযুক্ত শিক্ষকের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি কথা বলতে গেলে নানাবিধ চাপ আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, “শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু আমাদের এই শিক্ষকের বিষয়টি ব্যাতিক্রম। তিনি বিভিন্ন সময় জোরপূর্বক একাধিক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করেছেন। এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্যপূর্ণ আচরণ করে থাকেন। অনেকেরই পরীক্ষার উত্তর পত্রে নাম্বার বাড়ানো- কমানো তার ইচ্ছামত হয়ে থাকে।”

এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগের সভাপতি অভিযুক্ত শিক্ষক আনিসুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “এগুলো সম্পূর্ণ বানোয়াট। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। কোন স্বার্থান্ধ মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ মিথ্যাচার ছড়িয়েছে।”

কৃষি অনুষদের ডীন ড. মোঃ মোজাহার আলীর কাছে তার বিষয়টি তুললে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে অফিশিয়ালি এখন পর্যন্ত লিখিত কোন তথ্য পাইনি৷ তবে পরীক্ষা বিষয়ক অনিয়মের বিষয়টি সত্য। তবে পরে তা শিক্ষকদের সম্মতিতে সংশোধনও করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, “তার ব্যাপারে আমার কাছে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ আসলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।”