Home কুটনৈতিক ও প্রবাস প্রযুক্তি সহায়তার নতুন কর্মসূচি গ্রহণ

প্রযুক্তি সহায়তার নতুন কর্মসূচি গ্রহণ

44

মিশর থেকে জিয়াউল হক মুক্তা:

দুই সপ্তাহের জলবায়ু পরিবর্তন আলোচনার দ্বিতীয় সপ্তাহের মাঝামাঝিতেও সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের কোন টেক্সট বা পাঠ প্রকাশিত হয়নি এবং তা অনুমানও করা যাচ্ছেনা। প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন বিষয়ে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বর্তমান নির্গমন অর্ধেক হ্রাসের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।

আজ ১৬ নভেম্বর ২০২২ সালের কপের কনভেনশন ধারায় দুটো, কিয়োটো প্রটোকলের ধারায় দুটো এবং প্যারিস চুক্তির ধারায় চারটি অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। কোন কন্টাক্ট গ্রুপ বা ড্রাফটিং গ্রুপের গঠন ও অগ্রগতি নেই। ফলে সহজেই অনুমেয় একদম শেষ ক্ষণে তাড়াহুড়ো করে কোনো নেগোশিয়েটেড টেক্সট হলেও সেগুলো প্রত্যাশিত পর্যাপ্ত কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে না।

আজ উচ্চপর্যায়ের সভার দ্বিতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ও শেষ দিনের আলোচনা চলছে। এতে বক্তব্য রাখছেন নির্বাচিত আন্তঃসরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিগণ।

প্রাক-২০৩০ নিঃসরণ বিষয়ে গতকালের মন্ত্রী পর্যায়ের গোলটেবিল আলোচনা থেকেও সুনির্দিষ্ট কোনো অঙ্গীকার ঘোষিত হয়নি। এ গোলটেবিলে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তঃসরকারি প্যানেল বা আইপিপিসিসি জানিয়েছে যে গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমনের সর্বোচ্চ সীমা ২০২৫ সালের মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে হবে, তার মানে আর দু’বছর পর তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে আর কখনোই উর্ধে উঠতে দেয়া যাবেনা। কপ-২৭ থেকে নীতি নির্ধারক, বাজার শক্তি ও সকল ব্যক্তিকে এটা মনে রাখার আহ্বান জানিয়েছে আইপিসিসি। আইপিসিসির গ্রুপ তিন-এর কো-চেয়ার জিম সেকা বলেছেন যে বিগত কয়েক বছরে বায়ু ও সৌর বিদ্যুতের দাম নাটকীয়ভাবে কমেছে। এগুলোর ব্যবহার নির্গমন কমাতে আমাদের ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে। এছাড়া কৃষি, ভূমি ব্যবহার, বন, মাটি ব্যবস্থাপনা ও প্রতিবেশব্যবস্থা পুনরুদ্ধার আমাদের বিশেষভাবে সাহায্য করবে। সরকারগুলো এ বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠছে। আইপিসিসি জানাচ্ছে যে ২০১৯ সালকে ভিত্তি ধরে ২০৩০ সালের মধ্য নির্গমন অর্ধেক কমানোর ক্ষেত্রে প্রতি টন নির্গমন কমানোর খরচ একশ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। এই পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করতে হবে।

গতকাল কতিপয় সরকার, জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি বা ইউএনইপি ও ইউএনএফসিসিসি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত সমাধান পেতে উন্নয়নশীল দেশে পাঁচ বছরের একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

ইউএনএফসিসিসি ও প্যারিস চুক্তির অধঃস্তন দুটো প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে টেকনোলজি এক্সিকিউটিভ কমিটি বা টিইসিও ক্লাইমেট টেকনোলজি সেন্টার অ্যান্ড নেটওয়ার্ক বা সিটিসিএন নির্গমন হ্রাস ও অভিযোজন উভয় ক্ষেত্রে ২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।

কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩০ লক্ষ ডলার প্রদান করবে। জার্মানি এজন্য টিইসিকে ১৫ লক্ষ ইউরো ও সিসিটিএনকে ৫ লক্ষ ইউরো প্রদান করবে। কানাডা ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন সিটিসিএনকে যথাক্রমে ৬০ লক্ষ ও ২০ লক্ষ ইউরো প্রদান করবে সিটিসিএনকে। জাপান এই প্রক্রিয়ার পুরোনো সহায়তাকারী হিসেবে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে। দক্ষিণ কোরিয়াও সহায়তা প্রদান করবে বলে জানিয়েছে।

আজকের দিনটিকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাণবৈচিত্র্য দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।