Home বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পঞ্চম শিল্প বিপ্লবেও আমরা নেতৃত্ব দেবো: মোস্তাফা জব্বার

পঞ্চম শিল্প বিপ্লবেও আমরা নেতৃত্ব দেবো: মোস্তাফা জব্বার

45

স্টাফ রিপোটার: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে কথা বলার প্রথম শব্দ কম্পিউটার। কম্পিউটার বীর হানিফ উদ্দিন মিয়ার হাত ধরে ১৯৬৪ সালে ঢাকায় দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় কম্পিউটার প্রতিস্থাপিত হয়েছিল।১৯৬৯ সালে শুরু হওয়া তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে অংশগ্রহণের লক্ষ‌্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, ১৯৭৩ সালে আইটিইউ ও আইপিইউ-এর সদস‌্যপদ অর্জন এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ্-উপগ্রহ কেন্দ্র চালুর মাধ‌্যমে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের বীজ বপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ‌্যাটট‌্যাক্স প্রত‌্যাহার, ৪টি মোবাইল অপারেটরকে অপারেশনের সুযোগ প্রদান, ভিস‌্যাটের মাধ‌্যমে ইন্টারনেট সেবা চালু, দেশে বছরে ১০ হাজার প্রোগ্রামার তৈরির উদ‌্যোগ এবং জেআরসি টাস্কফোর্স গঠনের মাধ‌্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর রোপন করা বীজটিকে চারাগাছে রূপান্তর করেন য গত ১৪ বছরে মহিরূহে রূপ নিয়েছে। ২০০৮ সালে ষোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বের আসনে আসীন। পঞ্চম শিল্প বিপ্লবেও আমরা নেতৃত্ব দেবো, বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার।

মন্ত্রী শনিবার রাতে ঢাকায় আইইবি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ইন্টারন‌্যাশনাল কনফারেন্স অন ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভিউলিশন ফর ইমার্জিং ফিউচার -২০২২ অনুষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে যাত্রা এবং ডেল্টাপ্লান বাস্তবায়ন শীর্ষক অধিবেশনে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনের মাধ‌্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের অভিযাত্রায় প্রেক্ষাপট ও এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সফলতার চিত্র তুলে ধরে এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য প্রফেসর ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম এবং প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

বেগম মতিয়া চৌধুরী, এমপি ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতয় আমাদের জীবন প্রযুক্তি স্পর্শ করেছে উল্লেখ করে বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন পুরণের হাতিয়ার হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বিস্ময়কর ভূমিকা রেখে চলেছে। তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির কল‌্যাণে করোনাকালেও আমাদের জীবন যাত্রা থেমে থাকেনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি চর্তুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। পঞ্চম শিল্ল বিপ্লবেও বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব‌্যক্ত করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার শক্তির নাম হচ্ছে তারুণ‌্য।তরুণদেরকে বেকার তৈরি না করে উপযুক্ত শিক্ষার মাধ‌্যমে তাদেরকে সম্পদে পরিণত করার বিকল্প নেই। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই
অগ্রদূত বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি বড় হাতিয়ার। ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ‌্যমে সরকার যেমন জনগণের কাছে যেতে পারে তেমনি জনগণ সহজে সরকারি সেবা পেতে পারে- সরকারের কাছে যেতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে শতশত বছর পিছিয়ে থেকেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ফলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তিনি যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যান্ত্রিক এবং পঞ্চম শিল্প বিপ্লব যন্ত্র ও মানুষের সমন্বয়ে একটি শিল্প বিপ্লব যা মানবিক। বিশ্ব চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অতিক্রম করেছে আমরা পঞ্চম শিল্প বিপ্লব নিয়ে কাজ করছি। পঞ্চম শিল্প বিপ্লবেও আমরা নেতৃত্বে দেব উল্লেখ করেন ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার এই উদ্ভাবক। তিনি এই শিল্প ব্প্লিবের জন‌্য ইন্টারনেটসহ টেলিকম অবকাঠামোকে মহাসড়ক আখ‌্যায়িত করে বলেন, আমরা সেই মহাসড়ক তৈরি করছি। বাংলাদেশ ইতোধ্যেই ফাইভজি প্রযুক্ত যুগে প্রবেশ করেছে । দেশের ডিজিটাল মহাসড়কের পথ বেয়ে বাংলদ্শে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মতো পঞ্চম শিল্প বিপ্লবেও নেতৃত্ব দিবে বলে মন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব‌্যক্ত করেন।