Home খেলা নারী ফুটবল দলকে বীরোচিত সংবর্ধনা

নারী ফুটবল দলকে বীরোচিত সংবর্ধনা

26

স্টাফ রিপোটার: সাফ নারী ফূটবল চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল দেশের মাটিতে ফিরে ঢাকায় বীরোচিত সংবর্ধনা পেল। বিমান বন্দরে অবতরণের পর গোটা দলকে কেক খাইয়ে ফুলের মালা পরিয়ে তাদের বরণ করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
কেক কেটে অধিনায়ক সাবিনা, কোচ ছোটন, ওমেন উইং এর চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরনকে এ সময় কেক খাইয়ে দেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
এর পর তাদের পরিয়ে দেয়া হয় ফুলের মালা। এর আগে কাঠমান্ডুর বিমান বন্দরে পৌঁছানোর পর থেকে মেয়েরা উদগ্রীব হয়েছিল দেশে ফেরার জন্য। অধিনায়ক সাবিনা বলেন, এটি আমার ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন। এর অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। একটি জয় নিয়ে দেশে ফিরছি। দারুণ উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছে দেশবাসী। আমরাও আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি। ’
বিমানে উঠার পরেই তাদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। বিমানে বারবার ঘোষণা আসতে থাকে, শিরোপা জয়ের জন্য বাংলাদেশ নারী দলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েরা হাততালি দিয়ে উচ্ছ্বাস জানতে থাকে। স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া একটায় কাঠমান্ডুর ত্রিভুভন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ৩৭২ বিমানটি। চলন্ত বিমানেই তাদের মিস্টিমুখ করায় বিমান কর্তৃপক্ষ।
এই সময় বিমানের ক্রুরাও মেয়েদের সংগে ছবি তোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ সময় দুপুর ঠিক ১টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্দর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সংগে সংগেই আরেক দফা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে সাফ বিজয়ী নারী ফুটবল দলের সদস্যরা।
বিমানবন্দরে নারী দলকে স্কট দিয়ে নিয়ে আসা হয় ভিআইপি লাউঞ্জে। সেখানেই তাদের বরন করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন আহমেদসহ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সেখানকার আনুষ্ঠানিকতা শেষ গণমাধ্যম কর্মীদের উপচে পড়া ভিড়ের পাশাপাশি ব্লগার ও বিপুল সংখ্যক মানুষএর ভিড়ের কারণে পন্ড হয় পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন।
পারে সোনালী মেয়েদের চাহিদা অনুযায়ী ছাদ খোলা বাসে করে বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে সাফ চ্যম্পিয়নরা। এই সময় রাস্তার দুই পাশে দাড়িয়ে পতাকা নেড়ে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে তাদের অভিনন্দন জানায় ফুটবল অনুরাগীরা।
বিজয়ী নারী ফুটবল দলকে মতিঝিল ফেডারেশন কার্যালয় পৌঁছাতে রাত হয়ে যায়। রাস্তার দুপাশে উৎসুক জনতা তাদের আনন্দের অংশী হতে ও শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত হন।এ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশজুড়ে। এ যেন দেশ স্বাধীন করার আনন্দ।