Home কৃষি তালার নগরঘাটায় মাচানের উপর গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ সফলতার মুখ দেখছেন এক...

তালার নগরঘাটায় মাচানের উপর গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ সফলতার মুখ দেখছেন এক শিক্ষক

65

নজরুল ইসলাম,( তালা) সাতক্ষীরা: তালার নগরঘাটায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে মাচানের উপর গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন নগরঘাটা কালিবাড়ী গ্রামের মৃত্যু দ্বীন মুহাম্মদ কবিরাজের পুত্র শিক্ষক মোঃ আব্দুল মতিন। তালার উন্নয়ন প্রচেষ্টার সার্বিক সহযোগিতায় এবং কৃষি ইউনিটের আওতায় ব্লাকবেবী ও মধুমালা হাইব্রীড জাতের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে জমিতে পর্যাপ্ত পরিমান তরমুজের ধরন এসেছে। যা দেখলে নিমিষেই মন জুড়িয়ে যায়। গ্রীষ্মকালীন এই তরমুজ ফলটি এক নজরে দেখার জন্য অনেক কৃষক ও উৎসুক জনসাধারণ উক্ত জমিতে ভীড় জমাচ্ছেন। দৈনিক দৃষ্টিপাতের একান্ত সাক্ষাৎকালে শিক্ষক মোঃ আব্দুল মতিন জানান ১৮ শতক জমিতে ব্লাকবেবী ও মধুমালা হাইব্রীড জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। বীজ রোপন থেকে শুরু করে ২ মাসের মধ্যে তরমুজের পরিপক্ক ফলন আসে। পক্ষান্তরে তরমুজ একবারই ফলন দেয় বলে তিনি জানান। এছাড়া তরমুজ চাষাবাদে এই পর্যন্ত তার জমিতে মোট খরচ দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ২৫ হাজার টাকার মত। প্রতিটি তরমুজের ওজন হয়েছে ২ থেকে ৩ কেজি করে। বর্তমানে তরমুজ বাজারে পাইকারী দরে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা। তিনি আরও জানান যদি বাজার দর এইভাবে ঠিকঠাক মত থাকে তাহলে লক্ষাধিক টাকার তরমুজ কেনা বেচা হতে পারে। উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষিবিদ মোঃ নয়ন হোসেন জানান বীজতলা থেকে শুরু করে তরমুজ সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে কৃষকদের মধ্যে পলিথিন সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া জমির শেষ চাষের জন্য কৃষকদের মাঝে জৈব সার সরবরাহ সহ টেকনিক্যাল কিছু খরচ বহন করা হয়। এ ব্যাপারে কথা হয় তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুনের সাথে তিনি জানান এ বছর তালা উপজেলায় ২ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষাবাদের আওতায় এসেছে।