Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস ঢাবি’র শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা

ঢাবি’র শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা

39

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের দ্বিতীয় দিনের আলোচনা পর্বে বক্তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। আজ ২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম-এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে আলোচনা পর্বের সূচনা করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এমপি, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আলোচনা পর্ব উপভোগ করেন। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এমপি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মেধা ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে ওঠতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির যথাযথ সদ্ব্যবহার করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে নতুন প্রজন্মকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, অনেক রক্ত ও সংগ্রামের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বর্তমান প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের যোগ্য উত্তরাধিকারী হতে হবে। মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তাদের কাজ করতে হবে। মনুষ্যত্ব অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মর্যাদাকে বিশ^ দরবারে তুলে ধরতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক বলেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস এবং বাংলাদেশের ইতিহাস এক ও অভিন্ন। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আলোয় দেশের মানুষ আলোকিত হয়। আলোর এই বিচ্ছুরণ সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। নতুন প্রজন্মকে তাঁর আদর্শ ধারণ করতে হবে। তাঁর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ছাত্র জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। নাট্য চর্চাও এখান থেকে শুরু করেছিলাম। সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে সামাজিক সম্প্রীতি গড়ে তোলার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।
আলোচনা পর্ব শেষে দেশের খ্যাতিমান শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।