Home ধর্ম ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ১২ মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার নেই

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ১২ মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার নেই

33

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে একরাতে ১২টি মন্দিরের ১৪ প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা হয়েছে।

গত রোববার রাতে ভাঙচুরের ঘটনায় উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সিন্দুরপিন্ডি মন্দির কমিটির সভাপতি জতীন্দ্র নাথ সিংহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হওয়ার ২দিন পার হলেও মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম ডন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বিকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জরুরি সভা করেছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগ। এতে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত বাবুসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বক্তব্য দেন।

এদিকে সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে প্রতিমা ভাঙচুর হওয়া মন্দিরগুলো পরিদর্শন করেছেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আলম, সাধারণ সম্পাদক ড. টি এম মাহবুবুর রহমানসহ একটি প্রতিনিধিদল।

পরিদর্শন শেষে উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ড. টি এম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্দেশনায় আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলাম।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ৮টি, পাড়িয়া ইউনিয়নের ৩টি ও চাড়োল ইউনিয়নের ১টি মন্দিরের ওই ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে স্থানীয় লোকজন মন্দিরের প্রতিমাগুলো ভাঙচুরের ঘটনাটি দেখতে পান। শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।

ধনতলা ইউনিয়নের সিন্দুরপিণ্ডি থেকে টাকাহারা পর্যন্ত ১টি হরিবাসর মন্দির, ১টি কৃষ্ণ ঠাকুর মন্দির, ৫টি মনসা মন্দির, ১টি লক্ষ্মী মন্দির ও ১টি কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে।

এছাড়া চাড়োল ইউনিয়নে ১টি কালীমন্দির, পাড়িয়া ইউনিয়নে ১টি বুড়া-বুড়ি মন্দির, ১টি লক্ষ্মী মন্দির, ১টি আমাতি মন্দির এবং ১টি মাসানমাঠ মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।

প্রতিমাগুলোর হাত-পা, মাথা ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলেছে। আবার কিছু প্রতিমা ভেঙে পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

মন্দিরের প্রতিমা ভাঙার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার গুপ্ত বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েলসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।