Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস জামালপুরে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত

জামালপুরে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত

31

সুমন আদিত্য,জেলা প্রতিনিধিঃ দেড় বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে জামালপুর জেলার ১৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ তলিয়ে গিয়েছিল। বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনো কিছু বিদ্যালয়ে পাঠদানের উপযোগী হয়নি। তবে জেলা শিক্ষা অফিস বলছে নির্ধারিত দিন থেকেই খোলা থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জামালপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৩৬ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার সকালে ইসলামপুর উপজেলার বন্যায় আক্রান্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গত দুইদিন আগেও বুক সমান বন্যার পানি ছিল চিনাডুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তবে অতিদ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের মাঠে এখনো কাঁদা মাটি আটকা রয়েছে। এরকম অবস্থা প্রত্যকটি বিদ্যালয় প্রাঙ্গন।

চিনাডুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান জামালী বলেন, ‘মাঠ থেকে পানি নেমে গেলেও পানি রয়েছে বিদ্যালয়ের চতুর পাশে। আর মাঠে আটকা রয়েছে কাঁদা মাটি। তবে আগামী দুইদিন বৃষ্টি না হলে আশা করছি নির্ধারিত সময়েই খোলা থাকবে আমার এ প্রতিষ্ঠান।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘১৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যাকবলিত হলেও রোববার থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে চরাঞ্চলের কয়েকটি বিদ্যালয়ের মাঠে এখনো পানি রয়েছে। সেগুলোর বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করা হচ্ছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়েই খোলা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

জেলা মাধ্যমিক (ভারপ্রাপ্ত ) শিক্ষা অফিসার মনিরা মুস্তারী ইভা জানান, ‘এখন প্রায় সব বিদ্যালয়ের পানি নেমে গেছে। দেওয়ানগঞ্জের শুধু একটি বিদ্যালয় আশ্রয়ন কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। পানি নেমে যাওয়ায় দু’এক দিনের মধ্যে তারা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবেন। আমরা শতভাগ প্রস্তুত বিদ্যালয় খোলার জন্য’।