Home কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে বাণীশান্তার তিনফসলি কৃষিজমি রক্ষা করতে হবে

খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে বাণীশান্তার তিনফসলি কৃষিজমি রক্ষা করতে হবে

54

দাকোপ থেকে মো. নূর আলমঃ খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে হলেও বাণীশান্তার তিনশো একর তিনফসলি কৃষিজমি রক্ষা করতে হবে। করোনার অভিঘাত এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ’র নেতিবাচক প্রভাবে বৈশ্বিক খাদ্য বাজারে সংকট সৃষ্টি করেছে। এমতবস্থায় মোংলা বন্দরকে বাণীশান্তা ইউনিয়নে তিনফসলি কৃষিজমিতে পশুর নদীর ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। সকল সংকটকালে কৃষিই আমাদের রক্ষাকবচের ভূমিকা পালন করেছে। তাই কৃষিজমি রক্ষা করে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোংলা বন্দরকেও অনুসরণ করতে হবে। ৬ জুলাই বুধবার সকালে দাকোপ উপজেলা অডিটোরিয়ামে ”কৃষিজমি রক্ষা, কৃষিপন্য’র নায্যমূল্য নিশ্চিত এবং পদ্মাসেতুর সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক দাকোপ সংলাপে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল একথা বলেন।
বুধবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত দাকোপ সংলাপে সভাপতিত করেন দাকোপ উপজেলা নির্বাহি অফিসার মিন্টু বিশ্বাস। দাকোপ সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন দাকোপ উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান। সংলাপে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল। সংলাপ সঞ্চালনা করেন বাপা’র জাতীয় পরিষদ সদস্য মো. নূর আলম শেখ। সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাপা’র কেন্দ্রিয় নেতা তোফাজ্জেল সোহেল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড়, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আক্তার ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) গালিব মাহমুদ পাশা। সংলাপে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল, পানখালি ইউপি চেয়ারম্যান সাব্বির আহমেদ, বাজুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মানস মুকুল রায়,লাউডোব ইউপি চেয়ারম্যান শেখ যুবরাজ, দাকোপ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শিপন ভূইয়া, কৃষক নেতা কমলেশ গোলদার, কিশোর রায়, বিশ্বজিৎ মন্ডল, গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায়, মানবাধিকার কমিশনের আব্দুস সাত্তার, নদীকর্মী হাছিব সরদার, হিরন্ম মন্ডল, সত্যজিৎ গাইন, জয়কুমার মানিক, ইস্রাফিল বয়াতি, পাপিয়া প্রমূখ। সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহি অফিসার মিন্টু বিশ্বাস বলেন বাণীশান্তায় মোংলা বন্দরের বালু ফেলার সিদ্ধান্ত বিষয়ে কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ আছে।ক্ষতিপূরণ নির্ধারণও যথাযথ হয়নি। এবিষয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সংলাপে বক্তারা আরো বলেন পদ্মাসেতু চালু হওয়ার ফলে পন্য পরিবহনে ১০ ঘন্টা সময় বাঁচবে এবং যাত্রী পরিবহনে বাঁচবে ২ ঘন্টা। পদ্মাসেতু জাতীয় জিডিপিতে ১.২৩ এবং কৃষি জিডিপিতে ২.২৩ ভাগ অবদান রাখবে। পদ্মাসেতুর এই সুফল যাতে বাণীশান্তা-দাকোপের কৃষকরা ভোগ করতে পারে সেব্যাপাারে মাঠ প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। দাকোপের তরমুজসহ কৃষিপন্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কৃষকদের ’উৎপাদন ও বিপণন উদ্যোগ’ গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষিত তরুন কৃষকদের কাজে লাগিয়ে এসএমই আকারে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ ও বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। ”শস্য গুদাম ঋণ প্রকল্প” পূনুরুজ্জীবিত করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ’শস্য সংরক্ষণ ঋণ’ চালু করতে হবে।