Home খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ

42

ডেস্ক রিপোর্ট : গায়ানায় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এটা বাংলাদেশের টানা পঞ্চম আর বিদেশের মাটিতে অষ্টম ওয়ানডে সিরিজ জয়। প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে গতকাল রাতে অনুষ্ঠিত হয় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। এটি জিতলে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টানা ১১ ম্যাচে অপরাজিত থাকবে বাংলাদেশ। আর হারলেও সিরিজ জয়ের গৌরব থাকছেই।

গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ম্যাচ জয়ের পর ২-১-এ সিরিজও জিতে নেয় বাংলাদেশ। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজে তামিমরা পেলেন আরেকটি সিরিজ জয়ের স্বাদ, যা বিদেশে অষ্টম সাফল্য।

অতিথিরা প্রথম ম্যাচে ছয় উইকেটে ও দ্বিতীয়টিতে নয় উইকেটের জয় তুলে নেয়। এক ম্যাচ হাতে রেখেই আসে সিরিজ জয়ের আনন্দ। এটা বাংলাদেশ দলের টানা পঞ্চম ওয়ানডে সিরিজ জয়ের সাফল্য। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় করে তামিম ইকবালের দল।

২০০৬ সালে কেনিয়ার মাঠে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয় করে বাংলাদেশ। এরপর জিম্বাবুয়ের মাঠে তিনবার, দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে একবার ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে এ নিয়ে তিনবার ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখাল টাইগাররা।

দারুণ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশ দলের। এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ ও একই ব্যবধানে টি২০ সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। দলটি যখন প্রচণ্ড সমালোচনার বানে বিদ্ধ হলো তখনই ওয়ানডে দল সমর্থকদের আনন্দে ভাসিয়ে দেশকে সিরিজ জয়ের গৌরব এনে দিল।

এবারের সিরিজ জয়ের সিংহভাগ কৃতিত্ব বোলারদের। তাদের গড়ে দেয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়েই দলকে জিতিয়েছেন ব্যাটাররা। প্রথম ওয়ানডেতে ৪১ ওভারের লড়াইয়ে ডানহাতি অফ স্পািনার মেহেদী হাসান মিরাজ (৩/৩৬) ও তরুণ পেসার শরিফুল ইসলামের (৪/৩৪) অনবদ্য বোলিংয়ে ভর করে স্বাগতিকদের ১৪৯ রানের বেশি করতে দেয়নি বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে এসেছে ৬ উইকেটের জয়। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিকোলাস পুরানের দলকে মাত্র ১০৮ রানে অলআউট করে টাইগাররা। এবার নায়ক বামহাতি অর্থোডক্স স্পিনার নাসুম আহমেদ। ১৯ রানে তিন উইকেট তুলে নেন তিনি।

উল্লেখ্য, টি২০ স্পেশালিস্ট নাসুম এই প্রথম ওয়ানডে উইকেট পেলেন, তাও এক ম্যাচে তিনটি। এই ম্যাচে মিরাজ নেন ২৯ রানে চারটি উইকেট। এবার বাংলাদেশের জয়টা আরো বড়—৯ উইকেটের। মাত্র ২০.৪ ওভারের মধ্যেই জয় তুলে নেয় অতিথিরা।

মিরাজ প্রথম দুই ম্যাচে সাতটি উইকেট নিয়ে বোলিং ব্রিগেডের নেতৃত্ব দেন, আর শরিফুল পাঁচটি ও নাসুম তিনটি উইকেট দিয়ে দারুণ অবদান রাখেন। তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেনও বল হাতে দারুণ কার্যকর ছিলেন।

বোলারদের নৈপুণ্যের কারণে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পথে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি বাংলাদেশ ব্যাটারদের। বোলাররাই ব্যাটারদের কাজটা সহজ করে দিচ্ছেন। ১৫০ ও ১০৯ রানের দুটি সহজ টার্গেট ছুঁয়ে ফেলতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তামিম ইকবাল। তিনি দুই ম্যাচে করেন ৮৩ রান। এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৭ ও মাহমুদউল্লাহ ৪১ রান করেন।