Home সারাদেশ উজিরপুরে মৎস্য ঘের নিয়ে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

উজিরপুরে মৎস্য ঘের নিয়ে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

273

উজিরপুর(বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নে একটি মৎস্য ঘের নিয়ে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১ টায় মৎস্য ঘেরে মাছ ছাড়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বাকবিতান্ডা হয়। তবে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সরজমিনে গিয়ে ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উত্তর সাতলা পটিবাড়ি মৎস্য সমবায় সমিতির ঘেরটি ৮ শত বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত । দীর্ঘ ১৫ বছর সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল খালেক আজদ ওই ঘের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। তার নেতৃত্বে তখন ওই ঘেরটি পরিচালিত হতো। তার মৃত্যুর পরে ঘের পরিচালনা করতে তার ছেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক মশিউর রহমান মিঞা ও যুবলীগ নেতা এ্যাড. মনির হোসেন মিঞা গেলে একটি চক্র এনিয়ে হট্টোগোল সৃষ্টি করে। গত বছর উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিলে স্থানীয়দের সমন্বয়ে মৎস্য ঘের পরিচালনা কমিটি করে দেয়। সেই কমিটিতে প্রভাষক মশিউর রহমানকে সভাপতি করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে দেয়। ওই কমিটিতে রাজিহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আওয়ামীলীগ নেতা উজ্জল মন্ডলকে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও নিকুঞ্জ বালা পলাশকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে। ঘের পরিচালনা কমিটির জমির মালিক ও শেয়ার হোল্ডাররা এবছরে উজ্জল মন্ডল ও নিকুঞ্জ বালা পলাশের জমি না থাকায় তাদেরকে কমটিতে অর্ন্তভূক্ত না করার জন্য অনুরোধ করে। এনিয়ে দুই গ্রুপের ভিতর দ্বন্ধ তৈরি হয়। এই ক্ষোভে উত্তর সাতলার পটিবাড়ি মৎস্য সমবায় সমিতির মাছের ঘেরে উজ্জল মন্ডল ও নিকুঞ্জ বালা পলাশ দলবল নিয়ে মাছ ছাড়তে গেলে অপরপক্ষ ওই মৎস্য ঘের পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রভাষক মশিউর রহমান মিঞা এবং জমির মালিকসহ শেয়ার হোল্ডাররা বাধাঁ দেয়। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতান্ড সৃষ্টি হয়। এনিয়ে আওয়ামীলীগের দুইগ্রুপ পাল্টাপাল্টি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এ ব্যাপারে উজ্জল মন্ডল জানান, ওই ঘেরে জমির মালিকরা একত্রিত হয়ে মাছ অবমুক্ত করতে গেলে অপরপক্ষ মশিউর সহ ২০-২৫জন লোক নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্চুর করে। শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আঘাতের চিহ্ন নাই । তবে নিকুঞ্জ বালা পলাশের কানের নিচে একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সাতলা ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার জানান, মৎস্য ঘেরে মাছ ছাড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে বাকবিতান্ডা হয়েছে শুনে ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছি। তবে কোন সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেনি। মৎস্য ঘেরটি পরিচালনা করার জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ নিয়ে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছিল। তবে ওই কমিটির দুইএকজনের ভিতর সমন্বয় না থাকায় এ দ¦ন্ধ তৈরি হয়েছে। মৎস্য ঘের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মশিউর রহমান মিঞা জানান, এ বছর ওই ঘেরে জমির মালিক ও শেয়ার হোল্ডাররা ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ মাছ চাষ করেছে। মাছ চাষের ভিতর জোর করে কাউকে কিছু না জানিয়ে উজ্জল মন্ডল ও নিকুঞ্জ বালা পলাশ তাদের দলবল নিয়ে মাছ ছাড়তে যায়। এসময় জমির মালিক ও শেয়ার হোল্ডাররা তাদেরকে বাধাঁ প্রদান করলে তাদের সাথে বাকবিতান্ডা হয়। তবে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরো বলেন, ওই মৎস্য ঘেরে উজ্জল মন্ডল ও নিকুঞ্জ বালা পলাশের বাবার এবছরও মাছ চাষের শেয়ার রয়েছে । তবে কি কারনে তারা এঘটনা ঘটিয়েছে আমার জানানেই। উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) মমিন উদ্দিন জানান, ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠিয়েছি। উভয়পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।