Home জাতীয় আশিকুল কায়েস হত্যা প্রচেষ্টার দুই বছর

আশিকুল কায়েস হত্যা প্রচেষ্টার দুই বছর

131

ডেস্ক রিপোর্ট: ৬ সেপ্টেম্বর আশিকুল কায়েস হত্যা প্রচেষ্টা দিবস। ২০১৯ সালের এই দিনে স্থানীয় সন্ত্রাসী হাসিবুল ইসলাম এর মরণ থাবার শিকার হন আশিকুল কায়েস (২৯) ও তার পিতা আব্দুল হাই বিশ্বাস (৭০)। বাড়ীর পাশেই মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ পড়ে বের হবার পর মুরগির ব্যাপারী হাসিবুল ইসলাম এর নেতৃত্বে রফিকুল, শফিকুল, জাহিদুল, হাফিজার সহ অনেককে (প্রায় বিশ জন) অশ্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসীর একটি দল হঠাৎ অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাদের। অবস্থার অবনতি দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আশিকুল কায়েস এর পিতাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। চোখে ও মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণে তার চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
আশিকুল কায়েস মাগুরা জেলার শালিখা থানাধীন বুনাগাতী ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে কখনও অন্যায়ের সাথে আপোস করেননি। অসংখ্য মানুষের ভালোবাসার মনিকোটায় তিনি স্থান পেয়েছেন। পুরতান ঢাকার ঐতিহ্যবাহি সরকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ের উপর বিবিএস ও এমবিএস পাশ করেন। এসময় তিনি তরুণ লেখকদের প্রতিভা বিকাশের মঞ্চ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ তরুণ লেখক পরিষদ। সারাদেশের তরুণ লেখকদের ঐক্যবদ্ধ করে একুশে গ্রন্থমেলায় তরুণ লেখকদের বড় একটি অংশ তার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটানোর সুযোগ পায়। তার প্রকাশিত উপন্যাস ‘প্রহরের দিনগুলি’, ‘ভাইফোঁটা’, ‘অপেক্ষা’, গল্পগ্রন্থ ‘গল্পেসেরা, ‘গল্পেকথা’, কাব্যগ্রন্থ ‘কাব্যরস’, ‘অভিলাষ’ ‘কবিতার পাতা’ ‘কাব্যমঞ্জুরী’ ‘কাব্যলতা’। এছাড়াও পত্রিকায় লিখেছেন সম্পাদকীয় সহ অসংখ্য মুক্তমত।
জীবন জিবীকার ধারাবাহিকতায় বর্তমানে তিনি সমাজসেবা অধিদফতর মাগুরাতে কর্মরত।
দেশদরদি ও সাহিত্যিক আশিকুল কায়েস এর উপর ন্যাক্কারজনক হামলার বিচারের দাবিতে আন্দোলন ও মানববন্ধনে ফেঁটে পড়ে সারাদেশ। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও অদৃশ্য ক্ষমতার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে পার পেয়ে যায় এসব ভয়ংকর কালো মানুষগুলো। তাদের বিচার আজও হয়নি বরং জামিন নিয়ে খোলা গায়ে ঘুরছে জনসম্মুখে। বর্তমানে সমাজের চোখে ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছে ঐসকল সন্ত্রাসীরা। অথচ কিছু বলার কেউ নেই।