Home জাতীয় আমিনবাজারে ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা; ১৩ জনের মৃত্যুদন্ড

আমিনবাজারে ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা; ১৩ জনের মৃত্যুদন্ড

32

অপূর্ব ফারুক: সাভারের আমিনবাজারে ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৩ জনের মৃত্যুদন্ড ও ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমত জাহান এ রায় দেন।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে আব্দুল মালেক, সাইফ মেম্বার, আব্দুর রশিদ, ইসমাইল হোসেন রেপু, জমসের আলী, মীর হোসেন, মজিবুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, রজব আলী, আলম নুরা, মোহাম্মদ রানা, আব্দুল হানিফ ও আসলাম মিয়া।
যাবজ্জীবন কারাদ- প্রাপ্তরা হচ্ছে শাহিন আহমেদ, ফরিদ খান, রাজিব হোসেন, ওয়াসিম, সাত্তার, সেলিম, মনির হোসেন, আলমগীর, মোবারক হোসেন, অখিল খন্দকার, বশির, রুবেল, নুর ইসলাম, শাহদান হোসেন, টুটুল, মাসুদ, মোখলেস, টোটুল ও সাইফুল।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৫ জনকে খালাস দেয়া হয়। অন্যদিকে, মামলা চলাকালে তিনজনকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
গত ২২ নভেম্বর ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। মামলায় ৯২ সাক্ষীর মধ্যে ৫৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে আমিনবাজারের বড়দেশি গ্রামের কেবলার চরে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহতরা হচ্ছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যাপললিফের এ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শামীম (১৮), মিরপুর বাংলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ (২০), একই কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল (২১), উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র কামরুজ্জামান কান্ত (১৬), তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান (১৯) ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবির মুনিব (২০)।
ঘটনার পর নিহতদের বিরুদ্ধেই ডাকাতির অভিযোগ এনে গ্রামবাসীর পক্ষে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন আব্দুল মালেক নামে এক বালু ব্যবসায়ী। অন্যদিকে ছয় কলেজছাত্র হত্যাকান্ডে ৬০০ গ্রামবাসীকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন।
২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র‌্যাব সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ওই বছরের ৮ জুলাই মামলার ৬০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জশিট) গঠন করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলালউদ্দিন।