এমএইচ নাহিদঃ স্বামী-সংসার কী বুঝে না মীম। বুঝার কথাও না। যে বয়সে দুরন্ত গতিতে ছুটে চলার কথা পাঠশালার সহপাঠীদের সাথে, সেই বয়সে তার হাতে মেহেদী, পরণে লাল শাড়ী।বাবা মায়ের চাপে বসেছে বিয়ের পিঁড়িতে। কবুল পড়ে যাবে স্বামীর বাড়ী। কোন কিছু না বুঝেই শিশু মিম যখন কবুল পড়তে প্রস্তুত, তখন তাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে এলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। মীম রক্ষা পেল বাল্য বিবাহ থেকে।
নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের রথ গ্রামের ফজলার রহমান তার ৫ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে মিম (১৩) কে বিয়ে দিতে ছিল। অভিযোগ কেন্দ্রে এলাকাবাসীর মোবাইলে খবর পেয়ে সেখানে দ্রুত হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান। বন্ধ করে দেন মিমের বাল্য বিবাহ। গত বুধবার এ ঘটনাটি ঘটেছে। ভ্রামমাণ আদালতের মাধ্যমে তার বাবা ফজলার রহমান কে ৭ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেছেন। সেই সাথে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দিতে পারবে না বলে মুছলেকাও দিতে হয়েছে তাকে। এই ঘটণায় এলাকাবাসী নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।