সংবাদদাতাঃ মোংলার বুড়িরডাঙ্গা গ্রামে জেলা সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক লিঃ এর বিরুদ্ধে অনিয়ম করে জমি নিলামের অভিযোগ উঠেছে। বুড়িরডাঙ্গা গ্রামের আট ব্যক্তি এ ব্যাপারে খুলনা সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক লিঃ এর কাছে লিখিত ভাবে এর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছেন।
লিখিত আবেদনে জানা যায়, আশির দশকে বুড়িরডাঙ্গা গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি খুলনা কো-অপারেটিভ মর্টগেজ ব্যাংক লিঃ হতে তাদের জমি বন্ধক রেখে লোন গ্রহণ করেন। লোন গ্রহণকারীরা যথাসময়ে লোন পরিশোধ করে রশিদ গ্রহণ করেন। অথচ সম্প্রতি বুড়িরডাঙ্গা গ্রামের মৃত ননী গোপাল হালদার এবং মৃত কালিপদ রায়ের ওয়ারেশদের কাছে লোন পরিশোধের রশিদ দেখতে চেয়ে আর ফেরত না দিয়ে বরং তাদের জমি নিলাম ঘোষণা করা হয়েছে। আর এ্ই অনিয়ম করার মূল হোতা হিসেবে ওয়ারিশগণ বাগেরহাট জেলা সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক লিঃ এর ম্যানেজার মোঃ শাহিন শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে নিলাম খরিদা ব্যক্তি মৃত ননীগোপালের জমি দখল করতে আসলে বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পারে। মৃত দুই ব্যক্তির ওয়ারিশ শ্রীবাস রায়ের ৩ একর ২৬ শতক এবং মদন রায়ের ৩ একর ২৬ শতক জমি ইতিমধ্যে নিলাম ঘোষিত হয়েছে। শ্রীবাস রায় এবং মদন রায় এ ব্যাপারে খুলনা উন্নয়ন সমবায় ব্যাংক লিঃ এর ম্যানেজারের কাছে লিখিত ভাবে যাবতীয় হিসাব-নিকাশের তথ্য এবং স্টেটমেন্ট চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান নিখিল চন্দ্র রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন শিল্পায়নের ফলে বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের জমির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় একটি দালাল চক্র নানা ছল-ছুতোয় জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে মৃত ননীগোপাল হালদার এবং মৃত কালিপদ রায়ের জমি নিলাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি আরো জানান বাগেরহাট জেলা সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক লিঃ এর ম্যানেজার মোঃ শাহিন শেখকে বার বার ঋণ গ্রহীতাদের ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ করা কথা বলা হলেও তিনি অদ্যাবধি তা করেন নাই। বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের যে আট ব্যক্তি জেলা সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক লিঃ বাগেরহাটের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন তারা হলেন যুধিষ্ঠি চন্দ্র রায়, পংকজ রায়, আশীষ কুমার রায়, শ্রীবাস রায়, মদন রায়, সৌমিত্র রায়, অবনী হালদার ও ধীরাজ মোহন গাইন। অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাট জেলা সমবায় ভূমি উন্ননয়ন ব্যাংক লিঃ এর ম্যানেজার মোঃ শাহীন শেখ জানান আমি কারোর কাছ থেকে রশিদ নেয়নি। খুলনা অফিস থেকে প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র না পাওয়ার ফলে স্টেটমেন্ট দিতে একটি দেরী হচ্ছে। আর মৃত ননী গোপাল হালদার এবং মৃত কালিপদ রায়ের জমি নিলাম হওয়ায় তাদের ওয়ারিশগণ আদালতে মামলা করেছেন। আদালত যদি তাদের জমি ফেরৎ দিতে বলে তাহলে তারা জমি ফেরৎ পাবে।