বৃষ্টিতে কোরবানি, দুর্ভোগ

যুগবার্তা ডেস্কঃ বৃষ্টিতে কোরবানি দুর্ভোগ১ঈদুল আজহার নামাজের পরই শুরু হয়েছে কোরবানি। রাজধানীতে এর আগেই শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। বৃষ্টি আর জমে থাকা পানি নিয়েই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানির কাজ চলছে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কোরবানির জন্য স্থান নির্ধারণ করে দিলেও তা খুব একটা মানা হচ্ছে না। কারণ হিসেবে অনেক বাসিন্দা বৃষ্টির বাধার কথাও বলছেন। বৃষ্টিতেই বাসার সামনে অলিগলিতে কোরবানি দেওয়া হচ্ছে। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কসাই ও অন্যরা।

রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ, গুলশান, যাত্রাবাড়ী, আগারগাঁও, মিরপুর, তালতলা এলাকা ঘুরে পশু কোরবানির দৃশ্য চোখে পড়ে। যাত্রাবাড়ী, মগবাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় দেখা যায়, সড়কেই গরু কোরবানি দিয়ে বর্জ্য ও রক্ত রেখে দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে তুমুল বৃষ্টির কারণে সড়কের বিভিন্ন অংশে পানি জমে যায়। পশুর বর্জ্য ও রক্ত মিশে যাচ্ছে সড়কে জমা পানির সঙ্গে। এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পশুর বর্জ্য রাস্তায় রাস্তায় পানিতে ভাসছে।

ডেমরা এলাকায় কোরবানি দিচ্ছিলেন মো. সেলিম। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে বাসার সামনে ও রাস্তায় হাঁটু পরিমাণ পানি জমে গেছে। এ কারণে বাড়ির ছাদে গরুর মাংস কাটাকাটির কাজ করছি।’

ব্যস্ত সময় পার করছেন কসাইরা। তবে অনেকের অভিযোগ, কসাইরা বেশি পারিশ্রমিক দাবি করছেন। মগবাজার চেয়ারম্যান গলি এলাকার শহীদ কসাই এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার গ্রুপে মোট ২০ জন লোক আছে। তারা কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে এলাকার পশু জবাই করছেন। কোরবানির মাংস কাটাকাটির সময় হাজারে ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন। অর্থাৎ এক লাখ টাকার গরু হলে ২০ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন তাঁরা।

এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেক কোরবানিদাতা। তাঁরা জানান, লোকবল ও পশু জবাইয়ের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংকটের কারণে কসাইদের দিয়ে পশু জবাইয়ের কাজ করতে হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা দাবি করলেও কিছু করার নেই।

মগবাজার এলাকার খানসাহেব নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘টাকা বেশি হলেও নিরুপায় হয়ে কসাইদের কথা মেনে নিতে হচ্ছে। কিছু করার নেই।’