বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ওয়াক আউট

আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ। মঙ্গলবার তিনি সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে সাধারণ মানুষের জীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। রওশন এরশাদ বলেন, এই দাম বৃদ্ধির ফলে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষের সমস্যা বাড়বে। এরপর বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্যরা তার নেতৃত্বে অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন।
তাদের এই ওয়াক আউট প্রসঙ্গে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সরকারেরও কথা বলার আছে, কিন্তু তা না শুনে বিরোধী দলের সদস্যদের ওয়াক আউট গণতন্ত্র সম্মত হয়নি। পরে এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হলে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সরকার দেশের সকল মানুষের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায়। আগামী ৩ বছরে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে। তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম যা বাড়ানো হয়েছে তাতে সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায় এর কোন প্রভাব পড়বে না। এক থেকে ৫০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়নি। অর্থাৎ দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ যারা গ্রামে বসবাস করে তাদের ওপর এই বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্যে কোন প্রভাব পড়বে না। এ ছাড়া সেচ কার্যে ব্যবহৃত বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়নি। যারা ৫শ’ থেকে ৬শ’ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন তাদেরও খুব বেশি হারে বিল বাড়বে না। যিনি ৬ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল দেন তাদেরও ১ থেকে দেড়শ’ টাকা বেশি বিল দিতে হবে। তিনি বলেন, গ্যাসের বিল যা বাড়ানো হয়েছে তা মাত্র অবকাঠামো খরচের সাথে সমন্বয় করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে যে পরিমাণ গ্যাস উত্তোলন হয় তার ১২ শতাংশ যায় আবাসিক খাতে। আবাসিক খাতে যে দামে গ্যাস সরবরাহ করা হয় তা পৃথিবীর কোথাও নেই। ভবিষ্যতে পর্যায়ক্রমে সকলের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে এলপিজি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।