ধানের লাভ জনক দাম নিশ্চিত কর, কৃষক বাঁচাও

যুগবার্তা ডেস্কঃ ধানের লাভ জনক দাম নিশ্চিত করে কৃষক বাঁচাতে সরকারী ধান ক্রয় অভিযান অবিলম্বে জোরদার ও বিস্তৃত করা এবং হাটে হাটে ক্রয়কেন্দ্র খুলে সরকার নির্ধারিত দামে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার দাবিতে বাসদ(মার্কসবাদী) দেশব্যাপী মিছিল-সমাবেশ-মানববন্ধন-অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে আজ।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জহিরুল ইসলাম, ফখ্রুদ্দিন কবির আতিক, সীমা দত্ত প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সমাবেশের আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টনসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, “সারাদেশে আজ কৃষকের হাহাকার। বাম্পার ফলন ফলিয়েও ধানের দাম পাচ্ছে না চাষী। দুঃখে-ক্ষোভে ফসলে আগুন পর্যন্ত দিচ্ছে কৃষক। সরকার ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান গত ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিল। অথচ এখনো অনেক স্থানে জেলা-উপজেলায় তা শুরুই হয়নি। ফলে, সরকার নির্ধারিত ধানের ক্রয়মূল্য মণপ্রতি ১ হাজার ৪০ টাকা হলেও বাস্তবে কৃষকদের কাছ থেকে ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা কিনছে মণপ্রতি স্থানভেদে ৪০০-৫৫০ টাকায়। সরকারী ক্রয়ের অনুপস্থিতিতে ক্ষুদ্র কৃষকরা এভাবে লোকসানে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের পক্ষে ধান মজুদ করে রাখা সম্ভব নয়, কারণ একদিকে আয়োজনের অভাব, অন্যদিকে ঋণ পরিশোধ ও সংসার খরচ যোগানোর তাগিদ। আবার চলতি বোরো মৌসুমে সরকার শস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সাড়ে ১২ লাখ টন, এর মধ্যে দেড় লাখ টন মাত্র ধান, বাকী ১১লাখ টনই চাল। অর্থাৎ, কৃষকের কাছ থেকে অল্প ধান কিনে সরকার প্রধানত চাল কিনবে ধানকল মালিক-চাতাল মালিক-ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। এই মিল মালিকদেরই এজেন্ট হল ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে যেটুকু ধান উপজেলা পর্যায়ের খাদ্যগুদামে কেনা হয় তাও অনেক সময় প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে নেয়া হয় না, এই সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে শাসকদলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। এভাবে মিল মালিক-চাল ব্যবসায়ী-দুর্নীতিবাজ প্রশাসন-শাসক দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সকলে মিলে এক মধ্যস্বত্তভোগী সি-িকেট নিয়ন্ত্রণ করছে ধান-চালের বাজার। এর ফলে শোষিত হচ্ছে গরিব কৃষক, ভোক্তারাও মূল্যবৃদ্ধির শিকার হচ্ছে।”