অন্তু আহমেদ,জবি প্রতিনিধি : ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে জবিতে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উচ্চ শিক্ষাকে সার্বজনীন করার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেন। কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করাই ছিল এর প্রধান উদ্দেশ্য। আর এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়েই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিদেশি শিক্ষার্থীদের পদচারণা শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অফিস সূত্রে জানা যায়, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৭৫টি অতিরিক্ত আসনের ব্যবস্থা রেখেছেন। এবছর ২টি আসনে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ওই দু`জন শিক্ষার্থী হলে সিলাস ও দেভ্রা। তারা যথাক্রমে ইংরেজি ও গণিত বিভাগে ভর্তি হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে কথা হলে সিলাস বলেন, “বন্ধু দেভ্রার মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির তথ্য জানতে পারি। দেভ্রা ইন্টারনেট থেকে জানতে পারে যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।”
কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সিলাস বলেন, “উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। আর ইচ্ছে ছিল দেশের বাইরে কোথাও পড়াশুনা করি। তাই এখানে ভর্তি হওয়া।”
সিলাস বলেন, “সহপাঠীদের সাথে যোগাযোগ করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কারণ আমি ইংরেজি তেমনটা জানি না আর বাংলা তো কিছুই জানি না। তবে সহপাঠীরা আমাকে বাংলা শিখাচ্ছে। এটা আমি ভীষণ উপভোগ করি।”
সিলাস আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সমস্যা আছে তা জানা ছিল না কিন্তু আমি এখানে উপভোগ করি। বন্ধু ও শিক্ষকরা খুবই বন্ধুসুলভ। পড়াশুনার পাশাপাশি বাংলাদেশকে খুবই উপভোগ করি। তবে ক্লাসে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে জ্যামের কারণে আমাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক সুবিধা থাকলে আমাদের মত বিদেশী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা অনেকাংশে সুনিশ্চিত হত।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মোঃ ওহিদুজ্জামান নতুন বলেন, “আমরা এই বছরই বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করলাম। বিভিন্ন এসেম্বলিতে এ ব্যাপারে জানিয়েছি। আমাদের হল ব্যবস্থা নেই, পর্যাপ্ত জায়গা নেই, যোগাযোগব্যবস্থা ভালো নয় কিন্তু এখানে লেখা-পড়ার মান অত্যন্ত ভালো। পড়াশুনাতে অতিরিক্ত খরচ নেই। বিদেশি শিক্ষার্থীদের বাড়তি সুবিধা দিতে পারছি না হয়ত আগামীতে তাদের বাড়তি সুবিধা দিতে পারব।”