জঙ্গীবাদী অপতৎপরতা রুখতে যুদ্ধাপরাধীর দল জামাতকে নিষিদ্ধ কর…. ওয়ার্কার্স পার্টি

যুগবার্তা ডেস্কঃ “যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় বাস্তবায়নের পর থেকেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয়ে উপর্জপূরী হস্তক্ষেপ করছে পাকিস্তান। যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানের মৃত্যুদ- কার্যকরের পর পাকিস্তান ঐ ব্যক্তিদের তাদের স্বার্থের লোক বলে ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কুৎসিতভাবে বিষোদাগার করে।” কুখ্যাত রাজাকার আলী আহসান মহাম্মদ মুজাহীদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়ার পর পাকিস্তানের প্রতিক্রীয়া এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাক বাহিনীর নির্মম বর্বর অত্যাচার তারা অস্বীকার করছে। এমনকি সিমলা চুক্তিনুযায়ী ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী পাক সেনার নিজ দেশে বিচার করার বিষয়টি নির্লজ্জ অস্বীকার করছে। আজ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো দু’দিনব্যাপী সভার প্রস্তাবে একথা বলা হয়।”
বৃহঃবার পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পলিটব্যুরো সভা শেষ হয়। সভায় বলা হয়, ঢাকা পাকিস্তান হাইকমিশনে কর্মরত কূটনিতিক ফারিনা আরশাদ এর জঙ্গী অর্থায়নে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ হলে পাকিস্তান প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু পাকিস্তান এর পাল্টা হিসেবে কোন কারণ ছাড়াই পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের কূটনিতিক মৌসুমী রহমানকে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করে যা কূটনৈতিক শিস্টাচার বহি:র্ভূত। পাকিস্তান উলঙ্গভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবার চেষ্টা করছে।
সভায় বলা হয়, সৌদি আরবের নেতৃত্বে সন্ত্রাস বিরোধী জোটে বাংলাদেশে যোগদান বিবেচনা প্রসুত নয় এবং জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সভার প্রস্তাবে বলা হয় বাংলাদেশের সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোন সামরিক জোটে যোগদানের সুযোগ নেই। এই ধরনের যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে নেয়া উচিত।
সভায় অপর প্রস্তাবে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতি রক্ষা এবং জঙ্গীবাদী অপতৎপরতা রুখতে যুদ্ধাপরাধীর দল জামাতকে নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান হয়।
সভায় আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য দলের তৃণমূল পর্যায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে আরো সক্রিয় হতে আহ্বান জানানো হয়।
সভায় পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড বিমল বিশ্বাস, কমরেড নুরুল হাসান, কমরেড মাহমুদুল হাসান মানিক, কমরেড হাফিজুর রহমান ভূইয়া, কমরেড শফিউদ্দিন আহমেদ, কমরেড নূর আহমদ বকুল, কমরেড মনোজ সাহা, কমরেড হাজেরা সুলতানা এমপি, কমরেড কামরূল আহসান, কমরেড আমিনুল ইসলাম গোলাম, কমরেড এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি।