জগন্নাথের শিক্ষার্থীরাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পথে পুলিশের হামলা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগারে নতুন হল নির্মাণের দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে রওনা দিলে পথে মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুলিশী হামলার স্বীকার হয়েছে।
সোমবার ১০ টায় প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিতে পুরান ঢাকার ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ের দিকে রওনা হয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর আগে দাবি আদায়ে দুই দিন ক্যাম্পাসে ছাত্র ধর্মঘট পালনের পর সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম নয়ন অভিযোগ করে বলেন, মিছিল রায় সাহেব বাজার মোড় অতিক্রম করার সময় পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরা সেখানে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায়।
লক্ষ্মীবাজার মোড়ে ফের তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করার অভিযোগ করে তিনি জানান, তারা এখন তাঁতীবাজার মোড়ে আছেন।
জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার আদালতপাড়াসহ সর্বত্র নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
জনসন রোড, ইংলিশ রোড ও রায় সাহেব বাজার মোড় এলাকায় গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে।
২০০৫ সালে অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানের ১১টি হল প্রভাবশালীদের দখলে ছিল।
২০০৯ সালে বৃহত্তর ছাত্র আন্দোলনে সরকারের উচ্চ মহলের টনক নড়ে। ওই সময় একাধিক হল বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ থাকলেও তা কার্যকর করেনি ঢাকা জেলা প্রশাসন।
পরে ২০১১ ও ২০১৪ সালে জোরালো আন্দোলনে দুটি হল পুনরুদ্ধার হলেও তা ব্যবহার উপযোগী করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরেকটি হল আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দখলে থাকলে তা নিয়ে নেই কোন পরিকল্পনা; নতুন দুটি হল নির্মাণের উদ্যোগেও রয়েছে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ।
১৯৮৫ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে জগন্নাথের ৮টি হল বন্ধ হয়ে যায়।
গত ২ আগস্ট থেকে সেই মন্ত্রণালয়ের অধীন নাজিম উদ্দিন রোডে পরিত্যক্ত কারাগারের জমিতে হল নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। জমিটি পেতে ২০১৪ সালের মার্চে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে আবেদন করেছিল।
এবারে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে জায়গাটির জন্য গত ১৪ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য মীজানুর রহমান।